ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি : ডুমুরিয়ায় ভ্যান ও ফোন চুরির জন্যই মহিদুল ওরফে মিলনকে হত্যা করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ৫ আসামি হত্যার দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দি দিয়েছে। শনিবার বিকালে খুলনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাকিয়া সুলতানার আদালতে এ দায় স্বীকার করে। ধৃত আসামিরা হলো ডুমুরিয়া উপজেলার গোবিন্দকাটি গ্রামের শওকতের ছেলে রাফসান (২৩), খবির উদ্দিনের ছেলে শরিফুল (৪৫), কেশবপুরের গৌরিঘোনা গ্রামের কাজেম ফকিরের ছেলে গফুর ফকির (৪৫), খোদাবক্স সরকারের ছেলে মঞ্জুরুল সরদার(৪২) ও কক্সবাজার সদরের দক্ষিণপাহাড়তলী এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে এনামুল (৩০)। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে চট্রগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে শুক্রবার ভোর রাতে আসামিদের গ্রেফতার করে।
জানা যায়, গত ১৩ই মার্চ গোবিন্দকাটি এলাকায় একটি সুপারি বাগানে ভ্যান চালক মহিদুল ওরফে মিলনকে হত্যা করা হয়। মহিদুল কাঞ্চননগর গ্রামের বাসিন্দা। ঘাতকরা এ সময়ে তার ভ্যান ও একটি অপ্প এনড্রয়েট ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পরদিন মিলনের পিতা ওমর আলী শেখ বাদী হয়ে থানায় অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। চুরিকৃত সেই ফোনটি নোয়াখালী এলাকায় জনৈক এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে। পুলিশ ওই ফোনের সূত্র ধরে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে গোবিন্দকাটির রাফসান ও কক্সবাজারের এনামুলকে চট্রগ্রাম এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।
ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোঃ আক্তারুজ্জামান লিটন জানান, তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে আসামিদেরকে গ্রেফতার করে। আসামীরা বিজ্ঞ আদালতে হত্যার দায়ে স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। আদালত আসামিদেরকে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে।