মিরাজুল কবীর টিটো : যশোর বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় খুলনার পাইকগাছা উপজেলার রাড়ুলী আর কে বিকে হরিশচন্দ্র কলেজিয়েট ইন্সটিটিউট কেন্দ্র সচিব, সহকারী কেন্দ্র সচিব ও পরীক্ষা কমিটির সদস্যকে সকল দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্রে অনিয়ম, শিক্ষার্থীদের অনৈতিক সুবিধা প্রধান ও বিশৃঙ্খল পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হওয়ায় এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. আব্দুল মতিন সাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এদিকে নতুন কেন্দ্র সচিব নিয়োগের জন্য পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে চিঠি দেয়া হয়েছে।
ভিজিলেন্স টিমের সমন্বয়কারী ও বাংলাদেশ নৌবাহিনী স্কুল এন্ড কলেজ খুলনার রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক মাসুদ আলম গোলদার জানান, নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষার শুরু আধা ঘন্টার মধ্যে কক্ষ পরিদর্শকরা উত্তরপত্রে ওএমআর শিট সাক্ষর করে সিল মেরে কেন্দ্র সচিবের কাছে জমা দেবেন। কেন্দ্র সচিবের কক্ষ থেকে সেটা প্যাকেট করে শিক্ষা বোর্ডে প্রেরণ করবে। কিন্তু (১৫ এপ্রিল) বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষায় আর কে বিকে হরিশচন্দ্র কলেজিয়েট ইন্সটিটিউটের সহকারী কেন্দ্র সচিব ও কক্ষ পরিদর্শকরা সেটা পরীক্ষার্থীদের দিয়ে পূরণ না করে খালি রেখে অন্য রুমে নিয়ে পূরণ করছিলেন। এটা ভিজিলেন্স টিমের সদস্যদের কাছে ধরা পড়ে। এঘটনার সাথে জড়িত থাকার অপরাধে কেন্দ্র সচিব অত্র প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ গোপাল চন্দ্র ঘোষ, সহকারী কেন্দ্র সচিব শহীদ কামরুল মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপংকর দত্ত, একই স্কুলের শিক্ষক ও পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সদস্য গৌরব ঘোষকে পরীক্ষার সকল দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
অব্যাহতি দেয়া কেন্দ্র সচিব গোপাল চন্দ্র ঘোষ জানান, উত্তর পত্রের ওএমআর শীট সাক্ষর করে সিল মেরে দুটি বান্ডিল করতে হয়। একটি ওএমআর শিটে পরীক্ষা কমিটির সাক্ষর ছিল না। সহকারী কেন্দ্র সচিব শহীদ কামরুল মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপংকর দত্ত সাক্ষর না থাকার ওএমআর শিট কক্ষ থেকে সাক্ষর করে বের হওয়ার সময় ভিজিলেন্স টিমের সদস্যদের সামনে পড়ে। একারনে পরীক্ষা দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহেরা নাজনীন বলেন বোর্ডের চিঠি পেয়েছি। চিঠি পাওয়ার পর তালা এইচ এম এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মোবারক হোসেনকে আর কে বিকে হরিশচন্দ্র কলেজিয়েট ইন্সটিটিউটের কেন্দ্র সবিচ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. আব্দুল মতিন বলেন, পরীক্ষার দায়িত্ব পালনে গাফলতি থাকায় আর কে বিকে হরিশচন্দ্র কলেজিয়েট ইন্সটিটিউটের কেন্দ্র সচিব, সহকারী কেন্দ্র সচিব ও পরীক্ষা কমিটির সদস্যকে পরীক্ষার সকল দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। কারণ নকল মুক্ত সুষ্ঠু পরিবেশে পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।