নিজস্ব প্রতিবেদক: জ্ঞাত আয় বর্হিভুত সম্পদ অর্জনের মামলায় ঝিনাইদহ পুলিশের সাবেক পরিদর্শক শেখ সিরাজুল ইসলামকে ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন যশোরের একটি আদালত বৃহস্পতিবার স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ) এসএম নূরুল ইসলাম এক রায়ে এ সাজা দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত শেখ সিরাজুল ইসলাম যশোর নতুন উপশহরের এ-ব্লকের ৫৫ নম্বর বাড়ির শেখ মোহাম্মদের ছেলে ও ঝিনাইদহ শৈলকুপা থানার তৎকালিন পরিদর্শক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদুকের পিপি অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, জ্ঞাত আয় বর্হিভুত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়ায় বাগেরহাট পুলিলে (ডিআইও) পরিদর্শক শেখ সিরাজুল ইসলামকে তৎকালিন যশোর জেলা দুর্নীতি দমন দমন ব্যুরো নোটিশ জারি করেন। সিরাজুল ইসলাম তার এ নোটিশ গ্রহন করেননি। পরবর্তীতে ১৯৯৮ সালের ১৭ মে যশোর ডিএসবির মাধ্যমে বাগেরহাটে পাঠানো হলে তিনি গ্রহণ করেননি। পরবর্তীতে এ নোটিশ বাগেরহাট পুলিশ সুপারের মাধ্যমে পাঠালেও তিনি গ্রহন না করে পদোন্নতি পেয়ে ঝিনাইদাহ জেলায় চলে যান। সিরাজুল ইসলাম ঝিনাইদহের শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় এ নোটিশ পুলিশ সুপারের মাধ্যমে পাঠানো হলেও তিনি গ্রহণ করেননি। অবশেষে ২০০০ সালের ১১ জুলাই দুদক যশোরের তৎকালিন উপপরিচালক এমএ সোহবান আসামি শেখ সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে ঘটনার সিরাজুল ইসলাম নামে বেনামে অবৈধভাবে প্রায় কোটি সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় আসামি সিরাজুল ইসলামে অভিযুক্ত করে ২০১৫ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি দুদক যশোরের তৎকালিন উপ সহকারী পরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ আদালতে চার্জশিট জমা দেন।
দীর্ঘ সাক্ষী গ্রহন শেষে আসামি শেখ সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ২ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন বিচারক। সাজাপ্রাপ্ত পুলিশের সাবেক পরিদর্শক শেখ সিরাজুল ইসলাম পলাতক রয়েছে।