নিজস্ব প্রতিবেদক : যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে মারপিট ও শিশু সন্তান রেখে তাড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় আদালতে দায়ের করা পিটিশন কোতয়ালি থানায় নিয়মিত মামলা হিসাবে রেকর্ড হয়েছে। মামলাটি করেছেন শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া রোডের আলমগীর কবীরের মেয়ে সাদিয়া ইসলাম বিথী (২৪)।
আসামিরা হলো, তার স্বামী সদর উপজেলার ডুমদিয়া পশ্চিমপাড়ার আশরাফুল ইসলাম (৩১), শ্বশুর জহির উদ্দিন মোল্লা (৬৮) এবং শাশুড়ি সালেহা বেগম (৫৫)।
এজাহারে বিথী উল্লেখ করেছেন, ২০২০ সালের ১৫ অক্টোবর আশরাফুল ইসলামের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় তার পিতার কাছে যৌতুক বাবদ ১০ লাখ টাকা দাবি করে। তার পিতা টাকা না দিতে চাইলে যৌতুক ছাড়াই বিয়ে সম্পন্ন হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের একটি ছেলে আছে। বিয়ের পর থেকে আশরাফুল ইসলাম যৌতুকের ১০ লাখ টাকা দেয়ার জন্য চাপাচাপি করতে থাকে। তার ওপর শরীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে শ্বশুর শাশুড়ির প্ররোচনায়। বাধ্য হয়ে তার পিতা আশরাফুলকে ৭ লাখ টাকা দেয়। কিছুদিন নির্যাতন বন্ধ থাকার পর ফের বাকি ৩ লাখ টাকার জন্য অত্যাচার শুরু করে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর তার ছেলেকে রেখে দিয়ে একবস্ত্রে পিতার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। পরে আশরাফুল বিষয়টি মিমাংশার জন্য তার পিতার কাছে প্রস্তাব দিলে গত ১৪ অক্টোবর বিকেলে ৫টার দিকে আসামি তাদের বাড়িতে যায়। সেখানে যৌতুকের টাকা পরিশোধ না করা পর্যন্ত তাকে নিয়ে সংসার করবে না বলে জানিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে। সে সময় তিনি হাত ধরে অনুরোধ করলে তাকে মারপিট করা হয়। মাথা দেয়ালের সাথে ঠুকিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। পরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনা তিনি আদালতে পিটিশন দাখিন করলে আদালতের নির্দেশ কোতয়ালি থানায় পুলিশ তা নিয়মিত মামলা হিসাবে রেকর্ড করে।