আলমগীর কবির, কোটচাঁদপুর (ঝিনইদহ) : সংস্কার কিংবা পুণঃনির্মাণ না করার কারণে মহেশপুরের পুড়াপাড়া বাজারের প্রবেশ মুখের রাস্তাটি প্রায় ৪ বছর ধরে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। মাঝে মাঝে ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষ রাস্তাটির খানা খন্দে দু’চার গাড়ি ইট দিলেও কিছুদিন পর তা পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসছে। রাস্তাটি সংস্কার বা পুনঃনির্মাণ না করার কারণে প্রায় প্রতিদিনই এখানে ছোট-খাটো দুর্ঘটনা ঘটছে। রাস্তার দু’পাশে থাকা শতাধিক দোকানেও বর্ষা মৌসুমে কাংখিত বেচা-কেনা হচ্ছে না। যে কারণে ব্যবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। বাজারের মহেশপুর অংশের জাহিদ ডেকোরেটর থেকে আব্দুর রহিমের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ২’শ মিটার রাস্তা একেবারেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এ অংশের রাস্তায় সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্যা খানা খন্দের। স্থানীয় ব্যবসায়ী লোকমান হোসেন জানান, প্রায় ৪ বছর ধরে এই রাস্তার বেহাল দশা। বর্ষা মৌসুমে আমরা এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করিনা। দূর হলেও আমরা বিকল্প রাস্তা দিয়ে চলাচল করি। শুধু তাই নয় ছোট খাটো মোটরযানও বাধ্য হয়ে এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করছে না। রিপন সরদার নামে অপর এক ব্যবসায়ী জানান, পুড়াপাড়া এ অঞ্চলের মধ্যে ব্যবসায়িক এলাকা হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে পরিচিত। এখানে একাধিক অটো রাইচ মিলসহ বাছাই মিল রয়েছে। তাছাড়া মৌসুমী ফল ও সবজি চাষেও এলাকার যথেষ্ট সুখ্যাতি রয়েছে। কিন্তু রাস্তার বেহাল দশার কারণে চৌগাছা-যশোরসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা আমাদের এখানে আসতে অনিহা প্রকাশ করছেন। যে কারণে ব্যবসায়ীরা দারুনভাবে আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। রাস্তার অধিকাংশ স্থানেই বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ার কারণে বর্ষা মৌসুমে এ গর্তগুলো পানিতে পরিপূর্ণ থাকছে। অন্যদিকে শীতকালে রাস্তায় অতিরিক্ত ধুলো-বালির কারণে সাধারণ পথচারীদের চলাফেরায় বিঘ্নের সৃষ্টি হচ্ছে। স্থানীয়দের দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ রাস্তাটি নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে মহেশপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) শাহারিয়ার আকাশ জানান, রাস্তার ভাঙা অংশটি মহেশপুরের মধ্যে হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।