কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি: পৈতিৃক সূত্রে পাওয়া দুই শতক জমির উপর প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে কলেজের একাডেমিক ভবন নির্মাণের প্রতিবাদে রোববার সন্ধ্যায় কোটচাঁদপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মহেশপুর উপজেলার বিদ্যাধরপুর গ্রামের মৃত তোফাজ্জেল হোসেন সরদারের মেয়ে ভুক্তভোগী রিজিয়া খাতুন।
তিনি বক্তব্যে বলেন, ১৪০ নম্বর মালাধরপুর মৌজার ১৯৫১ দাগের ১৪ শতক জমির মধ্যে আমি ওয়ারেশ সূত্রে ২ জমির শতক মালিক। বৈবাহিক সূত্রে দীর্ঘদিন ধরে যশোরের চৌগাছা উপজেলার স্বরূপদাহ গ্রামে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছি। আমার অবর্তমানে আমাকে কোনকিছু না জানিয়ে বিদ্যাধরপুর শামছুল হুদা খান ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শাহ আলম, সাবেক সভাপতি মশিউল আজম খান বাচ্চু ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যা.ঃ শফিকুল আজম খান চঞ্চল আমার জমিতে একাডেমিক ভবন তৈরি করেন। বিষয়টি জানতে পেরে আমি প্রতিকার চেয়ে সাবেক এমপি কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও কলেজের অধ্যক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করি। কিন্তু তারা বিষয়টি কোনভাবেই আমলে নেননি।
তিনি আরো বলেন, কোথাও প্রতিকার না পেয়ে আমি শেষ পর্যন্ত সাংবাদিকদের দারস্থ হয়েছি। সংবাদ সম্মেলনে রিজিয়া খাতুনের স্বামী প্রান্তিক চাষি হাসান আলী উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষ শাহ আলম বলেন, রিজিয়া খাতুনের দুই ভাইয়ের সাথে কথা বলে আমরা ভবন নির্মাণ করেছি। রিজিয়া খাতুনের কাছ থেকে জমি ক্রয় কিংবা দলিল করা হয়েছে কি-না এমন প্রশ্নের উত্তরে অধ্যক্ষ বলেন, আমরা শুধু ভাইদের কাছ থেকে দলিল করে নিয়েছি।
অন্যদিকে এ কলেজের ম্যানেজিং কমিটির দাতা সদস্য আজিজুর রহমান মন্টু বলেন, তিন বোন, দুই ভাই ও মা ওয়ারেশ সূত্রে এ ১৪ শতক সম্পত্তির মালিক। আমরা ভাইদের কাছ থেকে দলিল করে নিয়েছি এবং সেখানে ১৫১নং দাগের কথা দলিলে উল্লেখ করা হয়েছে।
রিজিয়া খাতুন দাবী করেন দুই ভাই ও কলেজ কর্তৃপক্ষ বাকি ওয়ারেশদের সাথে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে জমির মালিকানা থেকে তাদের বঞ্চিত করেছেন।