স্পন্দন ডেস্ক: পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে বুধবার থেকে যৌথ অভিযান শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “আগামী ৪ সেপ্টেম্বর থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে।”
সরকার পতনের আগে ও পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সহিংসতার সময় থানা, ফাঁড়িসহ পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনা থেকে অস্ত্র-গোলাবারুদ লুট হয়। লুট হওয়া সেসব অস্ত্র সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে অনুরোধ জানিয়ে মঙ্গলবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয় পুলিশ সদর দপ্তর।
পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, মঙ্গলবারের পর কারও কাছে পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে অভিযানের বিষয়ে রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে বলেছে, অস্ত্র উদ্ধার অভিযানকালে স্থগিত করা লাইসেন্সের বিপরীতে থাকা অস্ত্র ও গোলাবারুদ থানায় জমা না দিলে সেগুলোও জব্দ করা হবে। পাশাপাশি পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনী ও সংস্থার বেহাত হওয়া ও হারানো অস্ত্রসহ যেকোন অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
সশস্ত্র বাহিনী, বিজিবি, কোস্টগার্ড, পুলিশ, র?্যাব ও আনসারের সমন্বয়ে যৌথ অপারেশন টিম গঠন করে অস্ত্র উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হবে।
মহানগর এলাকায় পুলিশ কমিশনার সংশ্লিষ্ট সব বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করবেন।
এর আগে স্থগিত লাইসেন্সারীদের অস্ত্র ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আগামী ২ সেপ্টেম্বর পুলিশ সুপার, সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিনিধি এবং গোয়েন্দা সংস্থাসহ অন্যান্য সদস্যের সমন্বয়ে কোর কমিটির সভা করে স্থগিত করা লাইসেন্সের তালিকা পর্যালোচনা করবেন।
অন্তর্র্বতী সরকার গত ২৫ অগাস্ট ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট পর্যন্ত ইস্যু করা অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিকটস্থ থানায় জমা দিতে নির্দেশ দেয়।
এর আগে গত ২৫ অগাস্টে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করে লুট হওয়া অস্ত্র নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুই।
ওই দিনই ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরে বেসামরিক ব্যক্তিদের দেওয়া সব অস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।
এদিকে পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, শনিবার পর্যন্ত ৩ হাজার ৮৭২টি বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র, ২ লাখ ৮৬ হাজার ২১৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ২২ হাজার ২০১টি টিয়ার শেল এবং ২ হাজার ১৩৯টি সাউন্ড গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়।