নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বেনাপোল কাস্টম হাউসকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৬ হাজার ৭০৫ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২১৬ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় করেছিল বেনাপোল কাস্টমস হাউস।
বেনাপোল কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, ভারত থেকে যেসব পণ্য আমদানি হয় তার উপর প্রতিমাসে নির্দিষ্ট পরিমানে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকা। সেখানে তারা আদায় করেছিল ৬ হাজার ১৬৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। এসময় আমদানি হয়েছিল ১৭ লাখ ২১ হাজার ৭৮০ মেট্রিক টন পণ্য।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আন্তর্জার্তিক বিষয়ক সম্পাদক সুলতান মাহামুদ বিপুল জানান, বৈশ্বিক মন্দা, ডলারের দাম ঊর্ধ্বগতির মধ্যেও গেল অর্থবছর বেনাপোল কাস্টমসে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পেয়েছিল। এবারও বাণিজ্য ভালো হলে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে যাবে।
বেনাপোল কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমদানি হয়েছিল ১৪ লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিক টন, ২০২১-২২ অর্থবছরে পণ্য আমদানি হয়েছিল ২১ লাখ ১৪ হাজার মেট্রিক টন। এর আগের ২০২০-২১ অর্থবছরে আমদানি করা হয়েছিল ২৬ লাখ ৪৪ হাজার মেট্রিক টন পণ্য। ২০১৯-২১ অর্থবছরে পন্য আমদানি করা হয়েছিল ২০ লাখ ৩৮ হাজার ৬৪ মেট্রিক টন। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পন্য আমদানি করা হয় ২০ লাখ ১১ হাজার ৬ মেট্রিক টন পণ্য।
ভারত-বাংলাদেশ ল্যান্ডপোর্ট ইমপোর্ট এক্সপোর্ট কমিটির পরিচালক মতিয়ার রহমান জানান, গেল অর্থবছরে সরকারের মেগা প্রকল্পের মালামাল বেনাপোল দিয়ে এসেছিল। এতে করে কাস্টমসের রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পেয়েছিল। চলতি বছর আশা করছি বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি বাণিজ্য গতি ফিরে পাবে।
বেনাপোল কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার সাফায়েত হোসেন জানান, চলতি অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আমাদেরকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৬ হাজার ৭০৫ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকা। সেখানে আমরা আদায় করেছিলাম ৬ হাজার ১৬৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। বেনাপোল কাস্টম হাউসে স্বচ্ছতার সাথে সব কাজকর্ম পরিচালিত হচ্ছে। আশা করছি এবারও রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে সক্ষম হবো।