অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি : যশোরের অভয়নগর উপজেলায় হিজবুল্লাহ দাখিল মাদ্রাসায় সাদ্দাম হোসেন নামে এক ব্যক্তি ভুয়া সনদে ১৬ মাস ধরে পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদে চাকরি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসার সুপারের দাবি, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তিনিসহ মাদ্রাসা অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা, উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা ও মাদ্রাসার সভাপতি ছিলেন। কেউ তখন আপত্তি করেননি। ভুয়া সনদের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
২০২৩ সালের ১ ফেব্রæয়ারি হিজবুল্লাহ দাখিল মাদ্রাসায় পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে যোগদান করেন সাদ্দাম হোসেন। তার বাড়ি মাদ্রাসার পাশের গ্রাম গোয়াখোলা ৫ নম্বর ওয়ার্ডে। চাকরিতে যোগদানের সময় তিনি ৮ম শ্রেণির সনদ জমা দেন। এরপর নিয়োগ প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে চাকরিতে যোগও দেন ও ৮ হাজার ২৫০ টাকা বেতনও তোলেন। ১ বছর ৪ মাস পর সম্প্রতি অভিযোগ উঠেছে, পরিছন্নতা কর্মী পদে জাল সনদ তিনি জমা দিয়েছেন।
জালিয়াতির বিষয়ে সাদ্দাম হোসেন জানান, প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ দেখেই কর্তৃপক্ষ তাকে ওই পদে নিয়োগ দিয়েছে।
মাদ্রাসার সুপার মাওলানা হাবিবুর রহমান জানান, মাদ্রাসায় নিয়োগের জন্য ২০২৩ সালের ২৯ জানুয়ারি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। আবেদন যাচাই-বাছাই করে সেই নিয়োগে একজন পরিছন্নতা কর্মী ও একজন আয়া পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি জানতে পেরেছেন পরিছন্নতা কর্মী সাদ্দাম ভুয়া সাটিফিকেট দিয়ে চাকরি করছেন। সেটি যাচাই করবেন কীভাবে সেটি তার জানা নেই। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও বিষয়টি জানানো হয়েছে।
সিরাজকাটি দুর্গাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রেমাশিষ মন্ডল বলেন, সাদ্দাম ট্রেড লাইসেন্স ও মোটর মেকানিকের কাজের কথা বলে আমার কাছ থেকে সনদ নিয়েছিল। সাদ্দাম আমার স্কুলে কোনোদিন পড়ালেখা করেনি। পরবর্তীতে জানলাম আমার দেয়া সনদে সে সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছে।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানাব। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
মাদ্রাসার সভাপতি রেজাউল হোসেন বিশ্বাস বলেন, যেহেতু অভিযোগ উঠেছে, ম্যানেজিং কমিটির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো। সার্টিফিকেট যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেব।