বিল্লাল হোসেন : উদ্বোধনের পর ৭ মাস পেরোলেও চালু হয়নি যশোর জেনারেল হাসপাতালের ১০ শয্যার আইসিইউ। ফলে উন্নত যন্ত্রপাতি থাকলেও মুমূর্ষু রোগীদের কোনো কাজে লাগছে না ইউনিটটি। হাসপাতালের প্রধান কর্মকর্তা বলছেন, লিফটের অভাবে ইউনিটটি চালু করা যাচ্ছে না। ২০২৩ সালের ১৪ নভেম্বর নতুন আইসিইউ ও আইসোলেশন ইউনিটের ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
হাসপাতালের প্রশাসনিক সূত্র জানায়, করোনা পরিস্থিতির অবনতি হলে ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে হাসপাতালের পুরাতন মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডে ৫ শয্যার একটি আইসিইউ ইউনিট চালু করা হয়। করোনা রোগী কমে যাওয়ায় ২০২১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর জেলা হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় করোনায় আক্রান্ত ছাড়াও সাধারণ রোগীদের আইসিইউ সেবা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সূত্রমতে, ১০ শয্যার আইসিইউ, ২০ শয্যার আইসোলেশন, চিকিৎসক-নার্সদের দায়িত্ব পালনের আলাদা কক্ষ, অক্সিজেন, নেবুলাইজার ও ভেন্টিলেটরসহ বিভিন্ন উপকরণ। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ লিফট চালু না করায় ইউনিটটির সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন মানুষজন।
নতুন ইউনিটে মুমূর্ষু রোগীদের শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য ভেনটিলেটর মেশিন, অটোমেটিক সিরিঞ্জ পাম্প মেশিন ও কার্ডিয়াক মনিটর স্থাপন করা হয়েছে। এখানে পালস, প্রেসার, অক্সিজেন স্যাচুরেশন এবং ইসিজি করা যাবে। প্রতি মিনিটে ৬০-৮০ লিটার অক্সিজেন সাপ্লাই দেয়ার জন্য হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা আছে। শ্বাসনালী পরিষ্কার করার জন্য সাকার মেশিন রয়েছে। শ্বাস-প্রশ্বাস ঠিক রাখার জন্য বিপেপ এবং সিপেপ, হঠাৎ বন্ধ হওয়া হার্টকে শক দিয়ে সচল করার জন্য ডিফিব্রিলেটর এবং প্রতিটি বেডের বিপরীতে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন আছে। সেই সাথে একটি ইয়ার ও একটি ভ্যাকিউম লাইন সংযোগ রয়েছে। এক কথায় আধুনিক মানের আইসিইউ প্রস্তুত করা হয়েছে।
হাসপাতালের তথ্য কর্মকর্তা ডা. গোলাম মোর্তুজা জানান, নতুন ১০ শয্যার আইসিইউ ও আইসোলেশন ইউনিটের কার্যক্রম শুরু হলে রোগীরা এর সুফল পাবেন। সামান্য টাকা ব্যয় করে সরকারিভাবে উন্নত চিকিৎসাসেবা নিতে পারবেন।
হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক ডা. হারুন অর রশিদ জানান, করোনারি কেয়ার ইউনিটের ৩ তলা পর্যন্ত লিফটের সুবিধা রয়েছে। শুধুমাত্র লিফটের অভাবে চতুর্থ তলায় নতুন ইউনিটটি চালু করা সম্ভব হচ্ছেনা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে।