নিজস্ব প্রতিবেদক: ইয়াবার পৃথক মামলায় দুই ব্যক্তিকে ভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন যশোরের একটি আদালত। অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় সুজন নামে এক আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে। বুধবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শিমুল কুমার বিশ্বাস আলাদা রায়ে এ আদেশ দেন।
সাজাপ্রাপ্ত জিয়া সরদার শার্শার বসতপুর গ্রামের ১ নম্বর কলোনির ওয়াজেদ আলী সরদারের ছেলে ও জীবন ইসলাম আকাশ যশোর শহরের ঘোপ জেলরোডের বুড়ির বাগানের টাক বাবুর বাড়ির ভাড়াটিয়া মৃত কুদ্দুস ইসলামের ছেলে।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাতে কোতয়ালি থানার পুলিশ ঘোপ জেলরোডের টিটিসি কলেজের সামনে থেকে জীবন ও সুজনকে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫৫ পিস ইয়বা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় উপশহর ফাঁড়ির এএসআই শরীফ উদ্দিন আটক দুইজনের বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। এ মামলার দীর্ঘ সাক্ষীগ্রহণ শেষে আসামি জীবনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৩ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
অপর দিকে, ২০১৮ সালের ৫ জুন যশোরের ডিবি পুলিশ শার্শার নাভারণ-সাক্ষীরা সড়কের যাদবপুরে অভিযান চালিয়ে জিয়া সরদারকে আটক ও তার কাছ থেকে ১০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ডিবির এসআই মুরাদ হোসেন শার্শা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন। এ মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে আসামি জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।