নিজস্ব প্রতিবেদক: ঝিকরগাছার শ্রীচন্দ্রপুর গ্রামে কলেজ ছাত্র ইলিয়াস হোসেনের বহুলালোচিত আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। প্রেমিকা লুইস পারভীন লিয়া ওরফে হিরামনীকে অভিযুক্ত করে এই চার্জশিট দেয়া হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় হিরামনীর পিতা আয়নাল হক ও মা লিজা বেগমকে অব্যাহতি দেয়ার আবেদন করা হয়েছে চার্জশিটে। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকতা এসআই সুমন বিশ্বাস। হিরামনী একই গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ইলিয়াস হোসেন চৌগাছার পাশাপোল আমজামতলা মডেল কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চমাধ্যমিকের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল। তিন বছর আগে প্রতিবেশী হিরমনীর সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের উভয়ের ঘর পাশাপাশি হওয়ায় ইলিয়াস হোসেন মাঝে মধ্যে জানালা দিয়ে হিরামনীর সাথে গোপনে কথা বলতো। হিরামনীর পিতা ও মা ইলিয়াসের সাথে প্রেম মেনে নিতে পারেননি। প্রায়ই ইলিয়াস হোসেনকে হুমকি দিত হিরামনীর মা ও বাবা। গত ২৯ মে দিবাগত রাতে ইলিয়াস জানালা দিয়ে দেখা করলে তার সাথে সম্পর্ক রাখবে না বলে জানায় হিরামনী। ইলিয়াস তখন তাদের প্রেমের সম্পর্ক নষ্ট না করার জন্য অনুরোধ করলে বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় আত্মহত্যা ছাড়া কোনো উপায় নেই বলে তাকে জানায় ইলিয়াস হোসেন। হিরামনী তার ব্যবহৃত ওড়না ইলিয়াসের হাতে দিয়ে আত্মহত্যা করতে বলে। এরপর হিরামনীর ঘরের জানালার সাথে ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে ইলিয়াস। এরপর হিরামনী প্রতিবেশী একজনকে ফোন করে বিষয়টি জানালে সে রাত ৩ টার দিকে এসে ইলিয়াসের লাশ দেখে সকলকে জানায়।
এ ঘটনায় মৃত ইলিয়াস হোসেনের পিতা মনিরুল ইসলাম চলতি বছেরের ১ মে আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগে হিরামনী ও তার পিতা এবং মাকে আসামি করে ঝিকরগাছা থানায় মামলার করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে আটক আসামিদের দেয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় হিরামনীকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ চার্জশিট দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। অভিযুক্ত হিরামনী ঘটনার পরে পুলিশ আটক করে আদালতে সোপর্দ করেছিল।