যশোরে তিন সোনা পাচারকারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

এখন সময়: শুক্রবার, ২৯ মার্চ , ২০২৪, ০৫:০৪:০৯ এম

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরে সোনা চোরাচালান মামলায় তিন পাচারকারীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার অতিরিক্ত দায়রা জজ ও স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক তাজুল ইসলাম এক রায়ে এ আদেশ দিয়েছেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলো, ঢাকা সুত্রাপুরের ৪১/৭ এর বানিয়া নগর কাঠেরপুল লেনের বাসিন্দা মৃত সুবল দত্তের ছেলে ও একই এলাকার ২৯ নম্বর কালীচরন রোডের মৃত যোগেশ চন্দ্র সাহার বাড়ির ভাড়াটিয়া পংকজ দত্ত, ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়ার নবীনগর থানার মাঝিয়ারা গ্রামের মৃত মিন্টু লাল সাহার ছেলে প্রদীপ সাহা ও মুন্সিগঞ্জ সদরের গোলাপ রায়ের দিঘীরপাড় এলাকার গোষ্ঠ বিহারী পোদ্দারের ছেলে রতন কুমার পোদ্দার।

সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্তি পিপি আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষীদের মাধ্যমে আসামিদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। তাই বিচারক এ মামলার রায়ে প্রত্যেক আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। রায়ে আসামিদের কাছ থেকে উদ্ধার সোনা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত সকল আসামি কারাগারে আটক আছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

আসামি পক্ষের আইনজীবী আবু মোর্ত্তজা ছোট জানিয়েছেন, আসামিরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। উচ্চ আদালতে আপিল করে ন্যায় বিচারের মাধ্যমে আসামিরা খালাস পাবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। 

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, যশোরের ৪৯ বিজিবি ২০২০ সালের ৩০ অক্টোবর দুপুরে  যশোর-মাগুরা সড়কের বাহাদুপরে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন যানবাহন তল্লাশি করে। পৌনে ১২টার দিকে শরীয়তপুর থেকে ছেড়ে আসা বেনাপোলগামী ফেম পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস চেকপোস্টে এসে পৌঁছালে বিজিবির সদস্যরা তল্লাশি করে ওই তিনজনকে সন্দেহজনকভাবে আটক করে। পরে তাদের দেহ তল্লাশি করে প্রত্যেকের জুতার মধ্যে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা ৩০ পিচ সোনার বার উদ্ধার করা হয়। যার ওজন ৩ কেজি ৪৯৫ গ্রাম। এ ঘটনায় যশোর ৪৯ বিজিবির হাবিলদার সাহিবুর রহমান বাদী হয়ে চোরাচালান দমন আইনে আটক তিনজনকে আসামি করে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই এসএম আনোয়ার হোসেন ২০২১ সালের ২৪ মার্চ ওই তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। দীর্ঘ সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক রায়ে তাদের প্রত্যেককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাস করে সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।