৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

এখন সময়: শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল , ২০২৪, ০৮:৩৯:২৭ এম

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: মাদক মামলার চার্জশিট থেকে অব্যাহতি পাইয়ে দেয়ার কথা বলে ৭ লাখ টাকা নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে পুুলিশ ইন্সপেক্টর গোলাম মোস্তফা হেলার বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার চৌগাছার পুড়াহুদা গ্রামের মৃত এজের আলী বিশ্বাসের ছেলে ইকবল হোসেন বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন।  সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল অভিযোগের তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। পুুলিশ ইনসপেক্টর গোলাম মোস্তফা হেলা যশোর সদরের দোগাছিয়া গ্রামের শামছুউদ্দীন মন্ডলের ছেলে। তিনি বর্তমানে তিনি গাজীপুরে ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে,  পুলিশ ইনসপেক্টর গোলাম মোস্তফা হেলা আত্মীয় ইকবাল হোসেনের। ইকবাল হোসেনের শ্যালক সোহরাব হোসেন পুলিশে চাকরি করেন। বর্তমানে সোহরাব হোসেন ঢাকায় কর্মরত। ২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি রাত ১০টার দিকে ইকবাল হোসেনের ভাগ্নে জুয়েলের নবীনগরের বাসা থেকে একটি প্রাইভেটকারে করে কর্মস্থলে ফিরছিলেন সোহরাব হোসেন। পথে ২০ মাইল নামক স্থানের চেকপোস্টে পৌঁছালে টহল পুলিশ প্রাইভেটকারটি দাঁড় করায়। গাড়িটি চালক থামানোর সাথে সাথে ভেতরে থাকা অপরিচিত একজন যাত্রী বের হয়ে দ্রুত পালিয়ে যান। পরে পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে ওই গাড়ির ভেতর থেকে ১১০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার এবং অন্যদের সাথে সোহরাব হোসেনকেও আটক করে। এ ঘটনায় ঢাকার আশুলিয়া থানায় মামলা করে পুলিশ। পরে ইকবাল হোসেন যোগাযোগ করেন তার বন্ধু পুলিশ ইনসপেক্টর গোলাম মোস্তফা হেলার সাথে। তিনি সোহরাব হোসেনের নাম ওই তদন্ত রিপোর্টে অব্যাহতি করিয়ে দেয়ার কথা বলে তার কাছে ৭ লাখ টাকা দাবি করেন। এরপর কয়েক দফায় তিনি মোট ৭ লাখ টাকা ইনসপেক্টর গোলাম মোস্তফা হেলাকে দেন। কিন্তু পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে ইকবাল হোসেন জানতে পারেন, মামলা থেকে সোহরাব হোসেনের নাম বাদ দেয়া হয়নি। এ কারণে  তিনি ইনসপেক্টর গোলাম মোস্তফা হেলার কাছে ৭ লাখ টাকা ফেরত চান। কালক্ষেপণের এক পর্যায়ে একই বছরের ৫ অক্টোবর ইকবাল হোসেনের স্ত্রী আমেনা খাতুনের নামে ১ লাখ টাকার একটি ব্যাংক চেক দিয়েছিলেন। সেটিও নগদায়ন করা যায়নি টাকা না থাকায়। বিষয়টি জানিয়ে গোলাম মোস্তফা হেলার কাছে টাকা ফেরত চাইলে দিতে অস্বীকার করেন। টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।