মণিরামপুর হাসপাতালে মানসিক ও প্রতিবন্ধী রোগীদের জন্য ‘মনের বাড়ি’ উদ্বোধন

এখন সময়: মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল , ২০২৪, ০১:০৩:৪২ পিএম

 

আব্দুল মতিন, মণিরামপুর: স্বাস্থ্য সেবায় নতুন যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মানসিক ও প্রতিবন্ধী রোগীদের সেবা প্রদানে আলাদা সেন্টার ‘মনের বাড়ি’ উদ্বোধনের মাধ্যমে এ নতুন যুগে প্রবেশ করলো। পাইলট প্রকল্পের আওতায় দেশের ৪ জেলায় মানসিক সেবা কেন্দ্র ‘মনের বাড়ি’ চালু করা হচ্ছে।

বুধবার দুপুরে দেশের প্রথম যশোরের মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ সেবা কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়েছে। উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের সুইডেন দূতাবাসের স্বাস্থ্য খাতের প্রথম সচিব ড্যানিয়েল নোভাক।

উপস্থিত ছিলেন সুইডেনের বাংলাদেশ দূতাবাসের সিনিয়র সহকারী প্রধান জহিরুল ইসলাম, বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার এনসিডি কর্মসূচি’র টিম প্রধান ডা. সাধনা ভগবত, ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার (মানসিক স্বাস্থ্য) বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার হাসিনা মমতাজ, বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার এনসিডি কর্মসূচির টিম প্রধান ডা. সাধনা ভগবত, জেলা সিভিল সার্জন বিপ্লব কান্তি বিশ^াস, সহকারী সিভিল সার্জন নাজমুস সাদিক, মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তন্ময় কুমার বিশ^াস।

এসময় বাংলাদেশের সুইডেন দূতাবাসের স্বাস্থ্য খাতের প্রথম সচিব ড্যানিয়েল নোভাক বলেন, মানসিক সমস্যা একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয়। সুইডেন, বাংলাদেশ সরকার ও বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা যৌথভাবে এ সমস্যা উত্তোরণে একযোগে কাজ করছে।

বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার এনসিডি কর্মসূচির টিম প্রধান ডা. সাধনা ভগবত বলেন, এ ধরনের একটি বিশেষ বিষয়ে এগিয়ে আসার জন্য সুইডেট সরকারকে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা সব ধরনের সহযোগিতা করবে। কমিউনিটি পর্যায়ে এধরনের সেবা প্রদানে জেলা সিভিল সার্জন ভূমিকা রাখবে।

জেলা সিভিল সার্জন বিপ্লব কান্তি বিশ^াস বলেন, দেশের মধ্যে যশোর, চাপাইনবাবগঞ্জ, সিলেট ও বান্দরবন জেলায় পাইলট প্রকল্পের আওতায় এ সেবা চালু হচ্ছে। প্রথম জেলা হিসেবে যশোর থেকেই এটি শুরু করা হলো। আগামীতে আরও ৬টি জেলায় এ সেবা কার্যক্রম চালু হবে। পর্যায়ক্রমে সারা দেশে চালুর সম্ভবনা রয়েছে।

এ সেবার সাথে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, মানসিক স্বাস্থ্য সেবার মধ্য দিয়ে এ অঞ্চলের আত্মহত্যার প্রবণতা কমাতে কাউন্সিলিং করা হবে। এছাড়া মানসিক রোগীদের উন্নত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করনে টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া হবে। এদিকে, এ সেবা চালুর মাধ্যমে চিকিৎসা সেবায় গ্রামীণ পর্যায়ে এক নতুন যুগে পদার্পণ করতে যাচ্ছে দেশ।