আন্তর্জাতিক নাট্যোৎসব

‘হাছনজানের রাজা’ নাটকে শিল্পীরা পরিপূর্ণভাবে বিলিয়ে দিয়েছেন

এখন সময়: শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল , ২০২৪, ০৬:৩৩:৫৯ এম

নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নাট্য উৎসবের চতুর্থদিন রোববার মঞ্চস্থ হয় নাটক ‘হাছনজানের রাজা নাট্য সংগঠন প্রাঙ্গনেমোর প্রযোজিত এবং শাকুর মজিদ রচিত ও অনন্ত হিরা নির্দেশিত এই নাটক উপভোগ করেন বিপুল সংখ্যক দর্শক। প্রায় দেড় ঘন্টার এই নাটকে সকল শিল্পী নিজেদের পরিপূর্ণ ভাবে বিলিয়ে দিয়েছেন। থিয়েটার ক্যানভাসের আয়োজনে এই উৎসব ঘিরে শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এখন নাট্যপ্রেমিদের মিলনকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।

হাছন রাজা বর্তমান সুনামগঞ্জ জেলার একজন সামন্ত প্রভু ছিলেন। পিতা ও মাতা ঊভয়ের কাছ থেকে পাওয়া বিশাল জমিদারির মালিকানা চলে আসে কিশোর বয়সে।  অর্থ, বেহিসেবি সম্পদ আর ক্ষমতার দাপটে বেপরোয়া জীবন-যাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন। জাগতিক লোভ-লালসা ক্ষমতায়নে জবরদখল করেও তিনি তার প্রতিপত্তি বাড়ানোর কাজে প্রবৃত্ত ছিলেন। কিন্তু এক সময় তার ভেতরের ক্লান্তি ঘুচে যায়। মধ্য পঞ্চাশে এসে তিনি এক ভিন্ন মানুষে পরিণত হয়ে যান। তার বোধহয় যে  এ জগত সংসারের সকল অনাচারের মূলে আছে অতিরিক্ত সম্পদ। কিছুদিনের জন্য অতিথি হয়ে আসা মানুষেরা আসলে মহাশক্তির কাছে একেবারেই নশ্বর। তিনি তার সম্পদ জনকল্যাণের জন্য উইল করে দিয়ে  কয়েকজন সঙ্গিনীকে নিয়ে হাওরে ভাসতে থাকেন আর এর মধ্যে খুঁজতে থাকেন সেই মহা পরাক্রমশালী স্রষ্টাকে। সৃষ্টিকর্তাকে খুঁজতে খুঁজতে একসময় আবিষ্কার করেন, তার নিজের মধ্যেই তার বাস। তার যে পিয়ারীকে সবাই হাছান জান বলে জানে, সে-ই আসল হাছন রাজা। জগতের মানুষের কাছে তিনি  রাজা বলে চিহ্নিত ছিলেন, হাছন রাজার কাছে এসে কেউই নয়, বরং পিয়ারী হাছনজানের ভেতরে প্রকৃত হাসান রাজ বিরাজমান  ছিলেন।

নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আউয়াল রেজা, রামিজ রাজু, মাইনুল তাওহীদ, সাগর রায,  শুভেচ্ছা রহমান, প্রকৃতি সিকদার, সবুক্তগীন শুভ, জুয়েল রানা, সানজিদা সরকার আসা, সুজয় দাশগুপ্ত, নিরঞ্জন নিরু, মনোয়ারা মান্নান প্রীতি,  সুমন মল্লিক,  বাদল সরকার ও রুমা আক্তার।