সন্দেহভাজন ১২জন পুলিশ হেফাজতে

কেশবপুর ঋষি পল্লীতে যুবককে গলাকেটে হত্যা

এখন সময়: শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল , ২০২৪, ০১:২৩:৩৯ পিএম

সিরাজুল ইসলাম, কেশবপুর (যশোর) : কেশবপুরের মজিতপুর ঋষী পল্লীতে গত বৃহস্পতিবার রাতে চঞ্চল কুমার দাস (২০) নামে এক যুবককে গলাকেটে ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তা। চঞ্চল একটি সেলুনে নরসুন্দরের কাজ করতো। সে উপজেলার মজিতপুর ইউনিয়নের পশ্চিম মজিতপুর গ্রামের ঋষি পল্লীর কার্তিক চন্দ্র দাসের ছেলে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্দেহভাজন ১২ জনকে থানায় নিয়েছে। 
কেশবপুর থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে একদল দুর্বৃত্ত ছুরিকাঘাতে মারাত্মক জখম করে মজিদপুর মাঠের মধ্যে ফেলে রেখে যায় চঞ্চলকে। আহত যুবক নিজের শরীরের জামা দিয়ে নিজের পেট বেঁধে হেঁচড়ে গ্রামের রাস্তার উপর উঠে আসে। সে সময় এলাকাবাসী মারাত্মক জখম অবস্থায় তাকে দেখতে পায়। তার পেট থেকে নাঁড়িভুড়ি বেরিয়ে যায়। গলাও কাটা ছিলো। প্রচুর রক্ত ঝরছিলো। দ্রুত তাকে কেশবপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে খুলনায় নেয়া হচ্ছিল। কিন্তু রাতে খুলনার ডুমুরিয়ার উপজেলার চুকনগরে পৌছালে অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে চঞ্চল মারা যায়। পুুলিশ সংবাদ পেয়ে সকালে লাশ যশোরে জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে ময়নাতদন্ত হওয়ার পর পরিবারের লোকজন কেশবপুরে গ্রমের নিয়ে যায়। 
এ বিষয়ে কেশবপুর থানার পরিদর্শক আবু বক্কর জানিয়েছেন, ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে একই গ্রামের আনন্দ কুমার দাস ও তার ছেলে সুদেব কুমার দাসসহ ১২জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়া হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ ও ঘটনা অনুসন্ধান চলছে।
এলাকার একটি সূত্রে জানাগেছে, নিহতের প্রতিবেশি আনন্দ কুমারের সাথে বিরোধ ছিলো। এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে আনন্দ বা তার পরিবারের সদস্যদের হাত থাকতে পারে। সে কারণে ১২জনকে পুলিশ আটক করেছে।