ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: কর অফিসের নোটিশ সার্ভার মনিরুল ইসলামকে অমানষিক নির্যাতন করে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মনিরুল ইসলাম ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার বারইপাড়া গ্রামের মনোহর হোসেন বিশ্বাসের ছেলে।
লিখিত এক অভিযোগে জানা গেছে, মনিরুল নড়াইল কর সার্কেলে চাকরি করেন। গত ১৯ জুন খুলনা কর কমিশনার কার্যালয়ের উপকর কমিশনারের স্টেনো টাইপিস্ট মনিরুজ্জামান ফোন করে তাকে খুলনা অফিসে ডেকে পাঠান। পথিমধ্যে কর কমিশনার অফিসের উচ্চমান সহকারী মারুফ আহম্মেদ আবারো ফোন করে তাগাদা দেন। দুই স্থান থেকে খবর পেয়ে তিনি ১৯ জুন দুপুরে নড়াইল কর অফিস থেকে খুলনায় পৌঁছান। উপকর কমিশনার (প্রশাসন) এর অফিসে পৌঁছালে মারুফ ও বহিরাগত সন্ত্রাসীরা অফিসারের সামনেই মনিরুলকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। অবস্থা বেগতিক দেখে উপকর কমিশনার (প্রশাসন) অফিস ত্যাগ করেন। তিনি অফিস ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উচ্চমান সহকারী মারুফ আহম্মেদ, প্রধান সহকারী শেখ রাসেল আহম্মেদ, স্টেনো টাইপিস্ট কারিমুল, নোটিশ সার্ভার জালাল আহম্মদ ও বহিরাগত কর পরিদর্শক জিল্লুর রহমানসহ ১০/১২ জন মিলে নির্যাতন করতে থাকেন। নির্যাতনের ফলে মনিরুল জ্ঞান হারিয়ে ফেলে এবং তার পরনের জামা কাপড় ছিড়ে যায়। এক পর্যায়ে তার পায়ূপথে গরম ডিম দেওয়ার জন্য বাজার থেকে ডিম কিনে আনে। মনিরুল গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে নির্যাতনকারীরা তার কাছ থেকে তিন’শ টাকার সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে পরদিন ছেড়ে দেয়। জীবনের ভয়ে মনিরুল খুলনা বা নড়াইলের কোন ক্লিনিক ও হাসপাতালে চিকিৎসা না নিয়ে ২১ জুন ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। খুলনায় ডেকে নিয়ে নির্যাতনের ঘটনায় তার পরিবার উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। যে কোনো সময় চক্রটি তার জীবনে শেষ করতে পারে এমন আশঙ্কা করছেন তার পরিবার। এ বিষয়ে নড়াইল কর অফিসের নোটিশ সার্ভার মনিরুল ইসলাম মঙ্গলবার বিকেলে জানান, তিনি সুষ্ঠ বিচার ও নির্যাতনকারীদের শাস্তির জন্য বিষয়টি নড়াইল সার্কেলের উপকর কমিশারকে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন।