আলমডাঙ্গায় ঐতিহ্যবাহী গ্রাম প্রধানী অর্পণ অনুষ্ঠান

এখন সময়: শুক্রবার, ২৯ মার্চ , ২০২৪, ০৭:১৯:২৫ পিএম

আলমডাঙ্গা অফিস: গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী মাতব্বর প্রথা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রায় বিলুপ্ত হতে চলেছে। কিন্তু আলমডাঙ্গা ও তার আশেপাশের গ্রাম গুলোতে এ প্রথা এখনো বিদ্যমান এবং এই প্রথার আদলে বর্তমান সরকারের গ্রাম আদালত পরিচালিত হয়ে থাকে। পল্লী কবি জসিমউদ্দিনের সুজন বাদিয়ার ঘাট কাব্যগ্রন্থে, শহিদুল্লাহ কায়সারের সংসপ্তক নাটকে, আমজাদ হোসেনের নয়নমনি, গোলাপী এখন ট্রেনে চলচ্চিত্রসহ সাহিত্য, নাটক ও পুরাতন সংস্কৃতির অনেকটা অংশ জুড়ে আছে এই মোড়ল বা মাতব্বর  চরিত্র। সেই পুরানো ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় গতকাল আলমডাঙ্গা কুমারী ইউনিয়ন মাতব্বর কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে ১৯  গ্রামের গ্রাম প্রধানদের উপস্থিতিতে গ্রাম মাতবরের দায়িত্ব পেল কুমারী গ্রামের মজিবার রহমানের ছেলে আরোয়ার হোসেন। মায়ের কুলখানী উপলক্ষে  দুপুরে প্রায় ২৫ মণ মাংস দিয়ে ১৯ গ্রামের মন্ডল ও এলাকার মানুষকে খাওয়ানোর মাধ্যমে  প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। খানার পূর্বে  সমিতির সভাপতি হাজী আজিজুল হকের সভাপতিত্বে কুমারী গ্রামে অনুষ্ঠিত গ্রাম প্রধানী অর্পণ অনুষ্ঠানে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আব্দুল মালেকের উপস্থাপনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল ফজল আবু সালেহ, কুমারী ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ পিন্টু, বর্ষিয়ান আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল গনি, উপজেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ সাজেদুল হক মনি ও মাতব্বর আজিজুল হক সোমা।

আলোচনা সভা শেষে অনুষ্ঠানের সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে টুপি ও পাগড়ি পরিয়ে মাতবরের স্বীকৃতি প্রদান করেন ও শপথ বাক্য পাঠ করান। শপথবাক্য পাঠ শেষে নুতন মাতব্বর আনোয়ার হোসেন উপস্থিত সকলের নিকট দোয়া প্রার্থনা করে বলেন, আমি যেন বাকি জীবন ইসলামের আদর্শ অনুযায়ী চলতে পারি এবং মুসলমান হিসেবে ঈমানের সাথে মরতে পারি।