Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

দেশে এখন কোভিড রোগী ৯০ হাজার, দিনে মৃত্যু বেড়ে ১৭

এখন সময়: মঙ্গলবার, ১ জুলাই , ২০২৫, ০৪:৫৭:২৮ এম

বিডিনিউজ : ওমিক্রনের বিস্তারে দেশে কোভিড রোগীর সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে দিনে মৃত্যু এক লাফে ১৭ এ পৌঁছেছে, যা ১৪ সপ্তাহে সর্বাধিক। আর এই মুহূর্তে সংক্রমিত অবস্থায় রয়েছে ৯০ হাজার জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের শনিবারের বুলেটিনে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করে ৯ হাজার ৬১৪ জনের দেহে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ার কথা জানানো হয়।

নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় আক্রান্তের হার গত দিনের মতোই ২৮ শতাংশের উপরে ছিল। আর এই পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৭৪ হাজার ২৩০।

গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে, যা আগের দিন ছিল ১২। এর আগে এক দিনে এত মৃত্যু ঘটেছিল গত বছরের ১৩ অক্টোবর।

১৪ সপ্তাহ আগের ওই দিনটিতে ১৭ জন কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছিল। অক্টোবরের পর নভেম্বর আর ডিসেম্বরের কোনো দিনই ১০ জনের বেশি মৃত্যুর খবর আসেনি।

নতুন মৃতদের নিয়ে মহামারীতে দেশে এই পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৮ হাজার ২০৯ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমিত হিসাবে গত ২৪ ঘণ্টায় সেরে উঠেছে ৪৮২ জন। তাতে এই পর্যন্ত সুস্থ হওয়ার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৫৬ হাজার ৭৯।

এই হিসাবে দেশে এখন সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ৮৯ হাজার ৯৪২ জন। অর্থাৎ এই সংখ্যক মানুষ নিশ্চিতভাবে সংক্রমিত অবস্থায় রয়েছে।

মহামারী শুরুর পরের বছর ২০২০ সালে করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে দেশের অবস্থা সঙ্গীন হয়ে উঠেছিল।

ওই বছর জুন-জুলাই-অগাস্টে দিনে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছিল। ৫ ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে রোগীর মৃত্যু ঘটে,, যা এক দিনের হিসাবে সর্বোচ্চ সংখ্যা।

দিনে সর্বাধিক রোগী শনাক্তের রেকর্ডটিও হয় ২৮ জুলাই। সেদিন ১৬ হাজার ২৩০ জনের দেহে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল।

ডেল্টার সেই ভয়াবহ অবস্থা পেরিয়ে ব্যাপক টিকাদানের মধ্যে যখন সংক্রমণ কমে আসছিল, তখন বিশ্বে আসে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট।

দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত এই ভ্যারিয়েন্টের প্রথম রোগী বাংলাদেশে শনাক্ত হয়েছিল গত ডিসেম্বরের শুরুতে।

অতি সংক্রামক বলে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগের কারণ হয়ে দেখা দেওয়া ওমিক্রনে দাপটে বাংলাদেশেও রোগীর সংখ্যা এখন আবার হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে।

সক্রিয় রোগী যেখানে ১০ হাজারের নিচে নেমে এসেছিল, সপ্তাহ দুয়েকের ব্যবধানে তা এখন আবার লাখ ছুঁই ছুঁই করছে।

দৈনিক রোগী শনাক্তের হার ডিসেম্বরে ২ শতাংশের নিচে নামার স্বস্তি যেখানে দিচ্ছিল, সেখানে তা এখন আগের রেকর্ড ৩২ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ হাজার ৩১১টি নমুনা পরীক্ষা করে ৯ হাজার ৬১৪ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ে।

দিনে নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার দাঁড়ায় ২৮ দশমিক ০২ শতাংশ। সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬৮ শতাংশ।

গত এক দিনে শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ৭ হাজার ৩৯৬ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা, যা মোট আক্রান্তের প্রায় ৭৭ শতাংশ। শুধু ঢাকা জেলায় ৭ হাজার ৫৬ রোগী শনাক্ত হয়েছে।

চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে চট্টগ্রাম জেলায় ৭০৪ জন, কক্সবাজারে ১৬৪ জন, কুমিল­ায় ১৩৫ জন, নোয়াখালীতে ১০০ জন, রাজশাহী বিভাগের বগুড়ায় ১০৭ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।

এছাড়া সিলেট জেলায় ২৪৭ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে গত এক দিনে।

গত একদিনে যে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের ১১ জন পুরুষ, ছয়জন নারী।

তাদের মধ্যে ১১ জন ঢাকা বিভাগের। দুজন করে চারজন চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগের এবং একজন করে দুইজন বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ১৪ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি, দুইজনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এ বছর ১২ জানুয়ারি তা ১৬ লাখ পেরিয়ে যায়।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত বছর ৫ ডিসেম্বর কোভিডে মোট মৃত্যু ২৮ হাজার ছাড়িয়ে যায়।

বিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৫৫ লাখ ৮৪ হাজার ছাড়িয়েছে। আর শনাক্ত হয়েছে ৩৪ কোটি ৫৯ লাখের বেশি রোগী।

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)