নূরুল হক, মণিরামপুর (যশোর) : বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল (বিএনপি)-৮৯, যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনটি বাংলাদেশ উলামায়ে ইসলামকে ছেড়ে দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অব্যহত রেখেছে মণিরামপুরের বিএনপির নেতাকর্মীরা। ধারাবাহিক প্রতিবাদের অংশ হিসেবে শুক্রবার বেলা ৩টায় অর্ধ লক্ষাধিক নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নারী-পুরুষের উপস্থিতিতে উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ইতোপূর্বে এ আসনটিতে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র অ্যাড. শহীদ ইকবাল হোসেনের নাম ঘোষনা করা হয়। কিন্তু গত বুধবার এ আসনটি বিএনপির শরীক দল উলামায়ে ইসলামকে ছেড়ে দিতে অ্যাড. শহীদ ইকবাল হোসেনের পরিবর্তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা রশিদ বিন ওয়াক্কাসের নাম ঘোষনা করেন। এ ঘোষনার পরপরই বিএনপির নেতাকর্মীরা বিদ্রোহ করে উপজেলা সদরসহ মণিরামপুর জুড়ে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে। বিএনপি এবং দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী এতে অংশ নেয়। শহীদ ইকবালের পক্ষে মুহুর্মুহু শ্লোগানে মণিরামপুর পৌরশহর প্রকম্পিত হয়ে উঠে। বিক্ষোভ মিছিল শেষে পৌরশহরের দলীয কার্যালয়ের সামনে পৌর বিএনপির সভাপতি খাইরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই এর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মফিজুর রহমান, অ্যাড. মকবুল হোসেন, বিএনপিনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আক্তার খান, সাংগঠনিক সম্পাদক খান শফিয়ার রহমান, পৌর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি সন্তোস স্বর, ইউপি চেয়ারম্যান নিস্তার ফারুকসহ মুখ। আন্দোলনরত নেতৃবৃন্দ বক্তব্যে বলেন, ‘জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম নামের যে একটা দল আছে সেটা দেশের বেশির ভাগ মানুষ-ই জানে না। কারণ বিগত স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সময়ে মণিরামপুরে এই দলটির কোন ভূমিকাই ছিলো না। তাদের ভূমিকা শুধু গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে। কিন্তু অ্যাড. শহীদ ইকবাল হোসেন একমাত্র ব্যক্তি যিনি বিগত স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে কখনোই রাজপথ ছেড়ে যাননি, শতাধিক মামলার আসামী করেও যাকে দমানো যায়নি বা বারবার তাকে দূর্বল করার জন্য প্রায় ২৩ বার তার বাভবনে হামলা করা হয়েছে, তার নিজের ছোট ভাই কে প্রকাশ্যে রাস্তায় নির্মম নির্যাতন করে মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে ফেলে রেখে গেছেন, তারপরও যিনি দলীয় প্রতিটি প্রোগ্রাম সফল করার সাহসিকতা দেখিয়েছেন। বিগত ১৭ বছর ধরে যিনি মণিরামপুরের একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে নেতাকর্মীদের খোঁজখবর নিতে ছুটে চলেছেন ক্লান্তিহীনভাবে রাতদিন। মণিরামপুরের সর্বস্তরের মানুষের সাথে যার নিবিড় সম্পর্কের কারণে আপামর গণমানুষের নেতায় পরিনত হয়েছেন-শহীদ ইকবাল। তাকে দলীয় প্রতীক ধানের শীষের মনোনয়ন ফিরিয়ে দিলে এই আসনটি বিএনপিরই হবে ইনশাআল্লাহ। অন্যথায় আসনটি হাত ছাড়া হবে।’ ধারাবাহিক কর্মসূচীর অংশ হিসেবে আগামীকাল বেলা ৩ টায় শহীদ ইকবালের মনোনয়ন ফিরিয়ে দেবার দাবীতে কাফনের কাপড় পড়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করার ঘোষনা দেন নেতৃবৃন্দ।