নিজস্ব প্রতিবেদক : কমিউনিস্ট আন্দোলনের প্রবাদ পুরুষ মহান বিপ্লবী কমরেড আবদুল হক-এর ৩০তম মৃৃত্যুবার্ষিকী আজ।
তার মৃত্যুবার্ষিকী পালনে জাতীয় কমিটির উদ্যোগে আজ সোমবার সকাল ৮টায় মিরপুর সমাধিস্থলে পুস্পমাল্য অর্পণ ও কেন্দ্রীয়ভাবে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আলোচনা সভাসহ দেশব্যাপী স্মরণসভা করা হবে। এদিন বিকাল ৩টায় জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট যশোর জেলা কমিটির উদ্যোগে যশোর দড়াটানা শহীদ চত্বরে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হবে।
কমরেড আবদুল হক ১৯২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর যশোর জেলার সদর থানার খড়কিতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম: শাহ মুহম্মদ আবুল খায়ের, মায়ের নাম: আমেনা খাতুন। আবদুল হক ছিলেন সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। অথচ সেই সম্ভ্রান্ত ব্যবস্থার বিরুদ্ধেই তিনি লড়াইয়ে নেমেছিলেন। জনগণের মুক্তির জন্য শ্রেণীচ্যুত হতে তার বাধেনি। অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন তিনি। কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে অর্থনীতিতে বি.এ অনার্স পড়ার সময় তিনি ১৯৪১ সালে ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টির প্রার্থী সভ্যপদ লাভ করেন। লেখক হিসেবে কমরেড আবদুল হক ক্ষুরধার লেখনির অধিকারী ছিলেন। তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা দশ। এগুলো হচ্ছে। ১. ইতিহাসের রায় সমাজতন্ত্র, ২. ক্ষুধা হইতে মুক্তির পথ, ৩. যত রক্ত তত ডলার, ৪. পূর্ব বাংলা আধাউপনিবেশিক আধাসামন্তবাদী, ৫. কৃষি ব্যবস্থা আধাসামন্ততান্ত্রিক, ৬. মার্কসীয় দর্শন, ৭. সামাজিক সাম্রাজ্যবাদের স্বরূপ-১, ৮.সামাজিক সাম্রাজ্যবাদের স্বরূপ-২, ৯. বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অর্থনীতি ও ১০. মাওসেতুং এর মূল্যায়ন। এছাড়াও শতাধিক প্রবন্ধ তিনি রচনা করেছেন। সুদীর্ঘ ষাট বছরের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে পঁচিশ বছরই তাকে আত্মগোপনে কাটাতে হয়। ২২ ডিসেম্বর ১৯৯৫ শুক্রবার রাত ১০টা ৫ মিনিটে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় কমরেড আবদুল হক শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।