মিরাজুল কবীর টিটো : এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে গ্রহণের লক্ষ্যে কেন্দ্র সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ে সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও অপরাধীদের শনাক্ত করতে বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে হাই রেজুলেশনের সিসি ক্যামেরা স্থাপনের নির্দেশ দেয়া হয়। সেই সাথে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সিসি ক্যামেরা লাগানোর জন্য ব্যবসায়ীদের চিঠি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
যশোর কালেক্টরেট সভাকক্ষ অমিত্রাক্ষরে রোববার সকালে অনুষ্ঠিত জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় পৌর প্রশাসক, জেলা শিক্ষা অফিসার, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশেক হাসান। সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ নির্দেশ দেন তিনি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার বলেন-শহরের বিভিন্ন মোড়ে হাই রেজুলেশনের সিসি ক্যামরা স্থাপন করা প্রয়োজন। এ ক্যামেরা থাকলে অপরাধী শনাক্ত করতে সহজ হবে। এজন্য মনিহার, চাঁচড়া ও দড়াটানায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও পালবাড়ী থেকে চাঁচড়া পর্যন্ত আলোকিত করার প্রস্তাব রাখেন।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশেক হাসান বলেন- শহরের বিভিন্ন মোড়ে পৌরসভা থেকে সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও লাইটিং করবে। ব্যবসায়ীদের চিঠি দেয়া হবে তারা যাতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে যেসব বিদ্যালয়ে ভোট কেন্দ্র হবে। সেসব বিদ্যালয়ে কর্তৃপক্ষ সিসি ক্যামেরা স্থাপন করবে। যাদের পোশা বিড়ালে কামড়াবে তাদের বিনামূল্যে টিকা দেয়া হবে না। টিকা গরীব মানুষের জন্য। আর যত উন্নয়নমূলক কাজ আছে, সেগুলো ফেব্রুয়ারি মাসের আগে করতে হবে। রাস্তা সংস্কারের কাজের বালি, খোয়া এমন স্থানে রাখতে হবে যাতে করে জনদুর্ভোগ না হয়। বিশেষ করে যেসব বিদ্যালয় কেন্দ্র হবে সেগুলো ভিজিট করে জানুয়ারি মাসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ও পৌর প্রশাসক রফিকুল হাসান বলেন-শহরের ১৭টি রাস্তার কাজ শুরু করা হয়েছে। ড্রেন পরিষ্কারের কাজ অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে এমএম কলেজ দক্ষিণ গেটের সামনের ড্রেন পরিষ্কার ও সংষ্কার করতে সমস্যা হচ্ছে। কারণ ড্রেনের আশপাশের অধিকাংশ বাড়ির স্যুয়ারেজ লাইন ড্রেনের সাথে সংযুক্ত। এটার বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ডিসেম্বরে মশা নিধন কার্যক্রম শুরু করা হবে।
জেলা শিক্ষা অফিসার মাহফুজুল হোসেন বলেন- যেসব বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র হবে। এর মধ্যে যাদের সামর্থ আছে তারা নিজ খরচে বিদ্যালয়ের সিসি ক্যামেরা স্থাপন করবে। আর যাদের সামর্থ নেই সেসব বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসক, জেলা পরিষদ বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত জানাবে।
সিভিল সার্জন ডাক্তার মাসুদ রানা নিপা ভাইরাসের আক্রান্ত থেকে দূরে থাকতে কাঁচা রস না খাওয়ার জন্য সকলকে আহবান জানান। তিনি বলেন-কাঁচা রসে মৃত্যুর হার ৭৫ শতাংশ। ডিসেম্বর পর্যন্ত নিপা ভাইরাসে ৪ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। জলাতঙ্ক রোগের টিকা চাহিদার তুলনায় কম পাওয়া যাচ্ছে। এজন্য টিকার সংকট দেখা দিয়েছে।
জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন-যশোরের বিভিন্ন ২২ লাখ খেজুরগাছ রসের আওতায় আনা হয়েছে। সেই সাথে ৬ হাজার গাছিকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। নেট দিয়ে রস থেকে বাদুর রক্ষা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তারপরও নিপা ভাইরাস থেকে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।
২৫০ বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার হুসাইন সাফায়াত বলেন- টিকার চাহিদা অনুযায়ী রোগী বেশি হওয়ায় টিকা সংকট দেখা দিয়েছে। সেই সাথে টিকা কর্মীরা আন্দোলনের থাকায় সমস্যা হচ্ছে।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া বলেন, যশোর-খুলনা মহাসড়কের কাজ চলমান রয়েছে। এ সড়কে ৮ কিলোমিটার ঢালাই করতে এক বছর সময় লাগবে। পালবাড়ী-মনিহার রোড টেকসই মেরামতের কাজ শুরু করা হয়েছে। এজন্য একটু যানজট হচ্ছে।
এ সময় বক্তব্য রাখেন এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ মাহাবুবুর রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জী, গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন সহ কর্মকর্তাবৃন্দ।
সভা পরিচালন্ াকরেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সুজন সরকার।