নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের পাগলাদাহ গ্রামের শাহিদুর রহমান ওরফে পাগলা শহিদকে (৪০) ছুরিকাঘাতে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার বিকেলে নিজ বাড়ির সামনে এ খুনের ঘটনা ঘটে। নিহত শহিদ পাগলাদাহ গ্রামের মাঠপাড়ার বশির উদ্দিনের ছেলে। তার বুকের দু’ পাশে দু’টি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, জনসম্মুখে ইয়াবা বিক্রির টাকা চাওয়ায় সেবনকারীরা ক্ষুব্ধ হয়ে পাগলা শহিদকে খুন করে। তবে স্বজনদের দাবি, রিকশা কেড়ে নেয়ার সময় প্রতিবাদ করায় দুর্বৃত্তরা তার প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পাগলা শহিদ একজন ইয়াবা বিক্রেতা। মাঝে-মধ্যে তিনি রিকশাও চালান। শনিবার বিকেল ৪ টার দিকে শহিদ নিজের বাড়ির সামনে রহমানের দোকান মোড়ে সেবনকারী পিয়াস, আলিফ, ইরান ও রিয়াজের কাছে বাকিতে ইয়াবা কেনার টাকা চায়। জনসম্মুখে টাকা চাওয়ায় তারা ক্ষুব্দ হলে উভয়ের মধ্যে তর্কবিতর্ক শুরু হয়। এ সময় দুর্বৃত্তরা ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে তার পিতা বশির উদ্দিন ছেলে শহিদকে উদ্ধার করে নিজেই রিকশায় করে জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খুনের সাথে জড়িত পিয়াস, আলিফ, ইরান ও রিয়াজের বাড়ি পাগলাদাহ গ্রামে। নিহতের বোন শাহিদা খাতুন জানান, শনিবার বিকেলে ফের তার ভাই শহিদের রিকশা কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করে উল্লিখিত দুর্বৃত্তরা। বাধা দেয়ার কারণে দুর্বৃত্তরা তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে। শুক্রবার দুপুরেও একই দুর্বৃত্তরা রিকশা কেড়ে নিতে চেয়েছিল। তখন দুর্বৃত্তদের সাথে তার ভাইয়ের তর্কবিতর্ক হয়েছিল। শাহিদা আরও জানান, পাওনা ২শ’ টাকা নিয়ে দুর্বৃত্তদের সাথে তার ভাইয়ের দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল। নিহতের ছোট ভাই সজীব হোসেন জানান-পিয়াস, আলিফ, ইরান ও রিয়াজ এলাকায় নানা অপরাধের সাথে জড়িত। তার ভাইকে প্রকাশ্যে খুনের ঘটনায় তাদের আটক করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ ডা.বিচিত্র মল্লিক জানান-শহিদকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়। তার বুকের বাম পাশে ও উপরে বড় দুটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও ফুসফুসে আঘাত লাগার কারণে তার মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা। হাসপাতালে দায়িত্বরত যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার এস আই হামিদুর রহমান জানান- পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কথা কাটাকাটির সময় শহিদকে ছুরিকাঘাতে খুন করা হয়েছে। লাশ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন জানান, শহিদ খুনের সাথে জড়িতদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।