মিরাজুল কবীর টিটো : নীতিমালা অনুযায়ী বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তি না হওয়া ও এসএসসি পরীক্ষায় কাঙ্খিত ফলাফল না করায় যশোর শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন ৭০টি বিদ্যালয়কে শোকজ করা হয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একাডেমিক স্বীকৃতি নবায়নের আবেদন করলে শোকজ করা হয় বলে জানান উপ-বিদ্যালয় পরিদর্শক ডালিম হোসেন। শোকজপ্রাপ্ত যে সব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শোকজের জবাবের সাথে অঙ্গীকারনামা দিচ্ছেন, সেটা বিবেচনা করে একাডেমিক স্বীকৃতি নবায়ন করা হচ্ছে।
বোর্ড সূত্র জানায়, বিদ্যালয়ে একাডেমিক স্বীকৃতি প্রদানের শর্ত হলো-জেলা সদর ও শহরে নূন্যতম ৪০ শিক্ষার্থী ভর্তি হতে হবে। এসএসসি পরীক্ষায় পাস করতে হবে নূন্যতম ৩৫ পরীক্ষার্থী । গত তিন বছরে এসব বিদ্যালয়ে শর্ত অনুযায়ী শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি ও এসএসসি পরীক্ষায় কাঙ্খিত ফলাফল অর্জন করেনি। বিদ্যালয়গুলোর প্রধান শিক্ষক যখন একাডেমিক স্বীকৃতি নবায়নের জন্য আবেদন করেন তখন বিদ্যালয়ের তিন বছরের তথ্য দেখে শোকজ করা হয়েছে। শোকজপ্রাপ্ত কয়েকটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শোকজের জবাবের সাথে অঙ্গীকারনামা দিয়েছেন। শোকজের জবাব ও অঙ্গীকারনামা বিবেচনা করে একাডেমিক স্বীকৃতি নবায়ন করা হয়েছে। একার্যক্রম চলমান রয়েছে।
শোকজ হওয়া বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে-খুলনার সোহরাওয়ার্দী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয় থেকে ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ১০ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ৫ জন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে শোকজ করলে তিনি শোকজের জবাব দেয়ার সাথে অঙ্গীকারনামা দিয়েছেন। শোকজের জবাব দেয়ার পর শর্ত সাপেক্ষে একাডেমিক স্বীকৃতি নবায়ন করা হয়েছে। এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এ ব্যাপারে উপ-বিদ্যালয় ডালিম হোসেন বলেন- এখন বিদ্যালয়ের একাডেমিক স্বীকৃতি নবায়নের জন্য প্রধান শিক্ষক অনলাইনে আবেদন করছেন। আবেদন করলে বিদ্যালয়ে তিন বছরের তথ্য দেখা হচ্ছে। তথ্যানুয়ায়ী যেসব বিদ্যালয়গুলো শর্ত অনুযায়ী শিক্ষার্থী ভর্তি ও এসএসসি পরীক্ষা কাঙ্খিত ফলাফল অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছে। সেসব বিদ্যালয়গুলোকে শোকজ করা হচ্ছে। শোকজ হওয়া বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দেয়া শোকজের জবাব ও অঙ্গীকারনামা বিবেচনা করে একাডেমিক স্বীকৃতি নবায়ন করা হচ্ছে।