মিরাজুল কবীর টিটো : মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড যশোরে বাংলোয় বৃষ্টি হলে ছাদ দিয়ে পানি পড়ছে, পলেস্তার খসে পড়ছে। এসবের কারণে বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬৩ সালে যশোর শিক্ষা বোর্ড স্থাপিত হয়। ওই সময় বোর্ড অফিসের পশ্চিম পাশে চেয়ারম্যান, সচিব, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, কলেজ পরিদর্শক ও বিদ্যালয় পরিদর্শকদের থাকার জন্য বাংলোয় নির্মাণ করা হয়। সেই থেকে ওই সব বাংলো গুলো সংস্কার না করায় বর্তমানে বসবাসের করা যাচ্ছে না। বিশেষ করে বর্ষাকালে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। মেঝেতে পানি ওঠে। পানির মধ্যে কর্মকর্তাদের অফিসে যাতায়াত করতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এর ফলে কর্মকর্তাদের বাংলো থাকায় কর্মকর্তাদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে।
বাংলোর ভাড়া কর্মকর্তাদের বেতনের বেসিক হতে ৩৫ শতাংশ কর্তন করা হয়। এর মধ্যে চেয়ারম্যান, সচিব, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, কলেজ পরিদর্শকের বেতন থেকে ২৪ হাজার ৯২০ টাকা ও বিদ্যালয় পরিদর্শকদের বেতন থেকে ২৪ হাজার ৪৪৭ টাকা কর্তন করা হয়। যদি কর্মকর্তা অফিসের বাংলোয় না থাকেন তারপরও বেতন থেকেও কর্তন করা হয়।
বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত উপসচিব (প্রশাসন ও সংস্থাপন) নিয়ামত এলাহী জানান, ৫ কর্মকর্তাকে সার্বক্ষণিক বোর্ডে অবস্থান করতে হবে। এজন্য মন্ত্রণালয় থেকে এয়ার মার্ক বাংলো করা হয়েছে। এ নিয়মে বাংলোয় থাকলে বাড়ি ভাড়া কর্তন করা হবে। না থাকলেও বাড়ি ভাড়া কর্তন করা হবে। যদিও বাংলো অনেক পুরাতন ও বসবাসের জন্য অনুপযোগি হয়, সে ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে অনুমতি নিয়ে পরিত্যক্ত ঘোষণা করতে হয়।
বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. প্রফেসর আব্দুল মতিন জানান, তার বাংলোয় বসবাসের জন্য মোটেও উপযোগী নয়। বৃষ্টি হলে পানি পড়ে। কোন উপায় না থাকায় সেখানে তাকে থাকতে হচ্ছে। একই কথা বলেন বিদ্যালয় পরিদর্শক সহযোগী অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মকর্তা, কর্মচারী জানান, অফিসের কর্মকর্তাদের বাংলো অনেক পুরাতন হয়ে গেছে। সেখানে বসবাসের জন্য মান সম্মত নয়। তারপরও সংস্কার করে কর্মকর্তারা বসবাস করেন। তারা আরো বলেন, বাইরে অনেক সুন্দর ও ভালো বাড়ি সর্বোচ্চ ১০ হাজার মধ্যে পাওয়ায়। অথচ অফিসের কর্মকর্তাদের বাস ভবনের ভাড়া বাবদ দ্বিগুণ টাকা কেটে নেয়া হচ্ছে।
তবে, বোর্ডের একটি সূত্রে জানিয়েছে, বাংলো অনেক পুরাতন বা বসবাসের অযোগ্য হলেও পরিত্যক্ত ঘোষণার জন্য বোর্ড কর্মকর্তারা কোন আবেদন করেননি।