ফুলতলা (খুলনা) প্রতিনিধি: জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, রাষ্ট্র ও জীবনকে সুখ ও শান্তিময় করতে ইসলামী অনুশাসন প্রয়োজন। রাষ্ট্রে ইসলামী আইন চালু হলে সকল ধর্মের বর্ণের গোত্রের মানুষ সুখে-শান্তিতে থাকবে। ন্যায় ও ইনসাফের সাথে দেশ পরিচালিত হবে। চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী, টেন্ডারবাজি, দখলদারিত্ব থাকবে না। একমাত্র ইসলামই সকল মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে পারে। ইসলাম প্রতিষ্ঠায় পুরুষের পাশাপাশি নারীদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। হযরত সুমাইয়া (আঃ) ছিলেন মহিলা সাহাবীদের মধ্যে প্রথম শহীদ। আম্মাজান আয়েশা (রাঃ)ও যুদ্ধের ময়দানে অংশগ্রহণ করেছেন। তাই ন্যায়, ইনসাফ ও কল্যাণকর রাষ্ট্র বিনির্মাণে নারীদের এগিয়ে আসতে হবে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ফুলতলা উপজেলার আটরা-গিলাতলা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াত আয়োজিত মশিয়ালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত মহিলা ভোটার সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওয়ার্ড সভাপতি শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মুন্সী মিজানুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারী প্রিন্সিপাল গাওসুল আযম হাদী, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবু ইউসুফ মোল্যা। সেক্রেটারী কামরুল গাজীর পরিচালনায় সমাবেশে এসময় বক্তৃতা করেন খানজাহান আলী থানা আমির ডা. সৈয়দ হাসান মাহমুদ টিটো, সেক্রেটারী গাজী মোর্শেদ মামুন, জামায়াত নেতা সুলতান মাহমুদ, মোশারফ হোসেন, নূর ইসলাম গাজী, রানা আকুঞ্জী প্রমুখ।
জান্নাতের টিকেট বিক্রি করা নিয়ে বিরোধীদের অপপ্রচারের জবাবে মিয়া পরওয়ার বলেন, জামায়াত কখনো মানুষের কাছে জান্নাতের টিকিট বিক্রি করেনা। তবে মহান আল্লাহ সৃষ্টি করে আমাদের সঠিক পথে পরিচালিত হওয়ার জন্য গাইডলাইন পবিত্র কুরআনুল কারীম পাঠিয়েছেন। কুরআনে আল্লাহ আমাদের জানিয়েছেন কোন কাজগুলি করা উচিত আর কোনগুলি বর্জন করতে হবে।
বিভিন্ন স্থানে তালিম প্রোগ্রামে বিএনপি নেতা কর্মীদের বাঁধা প্রদানের কথা তুলে ধরে সাবেক এমপি বলেন, বিএনপি এখন আওয়ামী লীগের ভাষায় কথা বলছে। আওয়ামী লীগ ইসলামী গণজাগরণ ঠেকাতে যেমন বিভিন্ন সময়ে জামায়াত-শিবিরকে কখন রাজাকার, কখনো জঙ্গি ট্যাগ দিত, ঠিক তেমনি বিএনপি এখন সেই ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। তারা বর্তমানে মাহফিলে বাঁধা দেয়, মা বোনদের তালিম প্রোগ্রামে বাঁধা দেয়। এটি করে তারা জামায়াতকে নয় মুলত. ইসলামকে বাধাগ্রস্ত করছে। এগুলো করে মূলতঃ তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে।