নিজস্ব প্রতিবেদক: জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চল পরিচালক মোবারক হোসাইন বলেছেন, অতীতের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও প্রতিহিংসামূলক মনোভাবের কারণে অন্যায়ভাবে জুডিশিয়াল ক্লিনের নামে সাক্ষী তৈরি, মানুষকে তুলে নিয়ে অন্য দেশে পাচার এবং বিদেশে বসে রায় লেখার মতো কেলেঙ্কারির মাধ্যমে আমাদের বহু শীর্ষ নেতাকে ফাঁসির দÐে ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। সা¤প্রতিক রায়ে প্রমাণ হয়েছে আল্লাহ ছাড় দেন ছেড়ে দেননা। আমাদের সকল নেতাই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার ছিলেন এ জাতি সেই সত্য প্রত্যাবর্তনের সাক্ষী হয়েছে।
জামায়াতে ইসলামী যশোর শহর, সদর ও পেশাজীবী থানা উদ্যোগে মঙ্গলবার যশোর জেলা পরিষদ (বিডি হল) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত রুকন সম্মেলন প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
যশোর শহর আমির অধ্যাপক শামসুজ্জামানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন,
কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য ও যশোর-৪ (অভয়নগর-বাঘারপাড়া) আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক গোলাম রসূল, যশোর-১ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী মাওলানা আজিজুর রহমান, যশোর-৩ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী ভিপি আব্দুল কাদের, জেলা সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা আবু জাফর সিদ্দিক, সদর আমির আবু জাফর, পেশাজীবী থানা শাখার আমির রাশিদুজ্জামান রতন, সহকারি সেক্রেটারি অধ্যাপক গোলাম কুদ্দুস, মাওলানা রেজাউল করিম, অধ্যাপক মনিরুল ইসলাম, আবুল হাশিম রেজা, অফিস সেক্রেটারি নুর ই আলা নূর মামুন, গাজী মুকিতুল হক প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মোবারক হোসাইন বলেন, এ টি এম আজহারুল ইসলাম ছিলেন রাজনৈতিক অপব্যাখ্যা ও পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের শিকার। আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে তিনি আজ আবারও জাতির সামনে সত্যের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছেন। এ ধরনের রায় জাতিকে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেছে এবং এটি দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে থাকবে।
তিনি নির্বাচন কমিশনকে সতর্ক করে বলেন, কোনো পক্ষপাতিত্ব গ্রহণযোগ্য নয়। জাতির আশা আকাঙ্খা পূরণ করে নির্বাচন কমিশনকে তার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করতে হবে।
সরকার জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি বাস্তবায়ন করে জাতির আস্থা অর্জনের সুযোগ পেয়েছিল, কিন্তু তা সম্পূর্ণভাবে কাজে লাগাতে পারেনি। তিনি মনে করেন, ভোটের মাধ্যমে জনগণের প্রত্যাশাকে সম্মান জানানোই হবে আগামী দিনের প্রধান রাজনৈতিক বার্তা।
তিনি জানান, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশের ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে কাজ করছে। যশোর জেলায় ইতোমধ্যে ছয়টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। জামায়াতকে রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা করে রাখার নানান প্রচেষ্টা চললেও জনগণ এখন আগের চেয়ে বেশি আগ্রহ ও প্রত্যাশা নিয়ে জামায়াতের দিকে তাকিয়ে আছে। ইসলামভিত্তিক কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই এখন মানুষের আকাঙ্খা। জামায়াতে ইসলামী কোনোভাবেই শুধুই বিরোধী রাজনীতি করতে চায় না; বরং জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।