Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

যশোরে গ্রাম আদালত কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা বিষয়ে অর্ধবার্ষিক সমন্বয় সভা

এখন সময়: মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর , ২০২৫, ০২:৫০:৩৭ এম

নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোর জেলায় গ্রাম আদালত কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা ও করণীয় বিষয়ে অর্ধবার্ষিক সমন্বয় সভা (২য় ব্যাচ) অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ তৃতীয় পর্যায় প্রকল্পের সহায়তায় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়, যা ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, ইউএনডিপি ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপপরিচালক (স্থানীয় সরকার) মো. রফিকুল হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) খান মাসুম বিল্লাহ এবং প্রকল্পের জেলা ব্যবস্থাপক অ্যাডভোকেট মহিতোষ কুমার রায়।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে মো. রফিকুল হাসান বলেন, গ্রাম আদালত সক্রিয়করণে ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি ইউনিয়ন পর্যায়ে মামলা নথি ব্যবস্থাপনা জোরদার করার পাশাপাশি যেসব ইউনিয়নে মামলা কম দাখিল হয়, সেখানে প্রচার-প্রচারণা বাড়ানোর নির্দেশনা দেন। গ্রামীণ জনগণের সাশ্রয়ী ও সহজ বিচারপ্রাপ্তি নিশ্চিত করাই গ্রাম আদালত কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য বলে তিনি মন্তব্য করেন।
প্রকল্পের জেলা ব্যবস্থাপক অ্যাডভোকেট মহিতোষ কুমার রায় উপস্থাপনায় জানান, জানুয়ারি থেকে অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত যশোর জেলার ৯৩টি ইউনিয়নের গ্রাম আদালতে মোট ২,৫৭৪টি মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে ২,২৫৪টি মামলা সরাসরি ইউনিয়ন পরিষদে এবং জেলা আদালত থেকে প্রেরিত হয় ৩২০টি। মামলা প্রকার অনুযায়ী দেওয়ানি মামলা ১,৩৪৮টি এবং ফৌজদারি মামলা ১,২২৬টি।১০ মাসে নিষ্পত্তিকৃত মামলার সংখ্যা ২,৬৮১টি, যা দাখিলের চেয়েও বেশি (১০৪.১৬%)। মোট ক্ষতিপূরণ আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৯২ লাখ ৭৫ হাজার ৪২০ টাকা, যা সংশ্লিষ্ট ভুক্তভোগীদের মধ্যে প্রদান করা হয়েছে।
উন্মুক্ত আলোচনায় ইউনিয়ন পরিষদের কর্মকর্তারা গ্রাম আদালত পরিচালনায় সীমাবদ্ধতা ও সুপারিশ তুলে ধরেন এবং দায়িত্ব পালনে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) খান মাসুম বিল্লাহ বলেন, গ্রাম আদালত আইনগত বিচার প্রক্রিয়ার একটি কার্যকর মাধ্যম। কোর্টে মামলা চালানোর ভোগান্তি থেকে মানুষকে রক্ষা করতে গ্রাম আদালতকে সক্রিয় রাখতে হবে। অল্প সময়ে, অল্প খরচে ও ঝামেলামুক্ত বিচার নিশ্চিত করাই এর উদ্দেশ্য।
সভায় যশোর জেলার চৌগাছা, ঝিকরগাছা, শার্শা ও কেশবপুর উপজেলার ৪৪টি ইউনিয়নের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এবং প্রকল্পের স্টাফরা উপস্থিত ছিলেন।

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)