নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী যুবলীগের বিক্ষোভ মিছিলের ব্যানার গোপনে তৈরি করার সময় দুইজনকে হাতেনাতে আটক করে কোতয়ালি থানা পুলিশ। এ ঘটনায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৪০/৫০জনের নামে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। থানার এসআই নাসির উদ্দিন বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে বৃহস্পতিবার মামলাটি করেন।
আটককৃতরা হলেন-শহরতলীর বিরামপুরের শফি উল্লাহের মোড়ের নাজিম উদ্দিনের ছেলে এবং শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের আইএনবি ডিজিটাল নামক দোকানের মালিক নাহিদ বিল¬াহ ও সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান পলাতক আনোয়ার হোসেন বিপুলের ম্যানেজার মণিরামপুর উপজেলার কুশখালী গ্রামের দশরথ মল্লিকের ছেলে বর্তমানে যশোর শহরের ষষ্টিতলা পাড়ার শেখর হালদারের বাড়ির ভাড়াটিয়া দেব প্রসাদ মল্লিক।
অন্য আসামিরা হলেন- সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শহরের পুরাতন কসবা এলাকার জবেদ আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন বিপুল, আওয়ামী লীগ পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বিপু, পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর শহরের এমএমআলী রোডের আব্দুল খালেকের ছেলে হাজী আলমগীর কবীর সুমন, শংকরপুর ইসহাক সড়কের ফারুক হোসেনের ছেলে পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর শেখ শাহেদ হোসেন নয়ন ওরফে হিটার নয়ন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বালিয়া ভেকুটিয়া গ্রামের মৃত মুকুর মোড়লের ছেলে শাহারুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা ও চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ছাতিয়ানতলা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে আব্দুল মান্নান মুন্না, সদর উপজেলার জিরাট রুপদিয়া গ্রামের মৃত কওছার আলী ড্রাইভারের ছেলে নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ এবং সদর উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান লাইফ।
মামলায় উলে¬খ করা হয়েছে, বুধবার রাত ১১টার দিকে তারা জানতে পারেন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার ও আইসিটি আইন বন্ধের দাবিতে যুবলীগ বিক্ষোভ করবে। সেই বিক্ষোভের ব্যানার তৈরির কাজ চলছিল যশোর শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের আধুনিক হাসপাতালের পাশে আইএনবি ডিজিটাল নামের একটি প্রিন্টিং প্রতিষ্ঠানে। এ কাজের নেতৃত্বে ছিলেন যশোর সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুল। পরে পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সত্যতা পায় এবং ওই দুইজনকে আটক করে। অন্যরা পালিয়ে যান।
মামলায় আরও উলে¬খ করা হয়, জিজ্ঞাসাবাদে আটক দেব প্রসাদ মলি¬ক স্বীকার করেন যে-তিনি ব্যানার তৈরী করতে এসেছিলেন। আনোয়ার হোসেনে বিপুলের অর্থায়নে ও নির্দেশনায় তিনি সেখানে গিয়ে ব্যানার ও ফেস্টুন তৈরী করে তা সরবরাহ করেছেন আরো আগে। নাহিদ বিল¬াহও ব্যানার তৈরির বিষয়টি স্বীকার করেন। পরে পুলিশ সেখান থেকে চারটি ব্যানার জব্দ করে এবং ব্যবহৃত কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক বিশে¬ষণ করে দেখে এর আগেও সেখানে একাধিক প্রোগ্রামের ব্যানার তৈরি করা হয়েছিল। সরকারের ভাবমূর্তি ও দেশে অস্থীতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষে নানা গোপন পরিকল্পনায় ছিলো তারা। পলাতক আসামিরাও এই কাজে গোপনে সহযোগিতা করছিল।
এ বিষয়ে অভিযানে থাকা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী বাবুল বলেন, এই মামলায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিলে সন্ধ্যার দিকে তাদের কারাগারে নেয় পুলিশ। তিনি আরও বলেছেন, পলাতক আসামিদের আটকের জন্য অভিযান চলছে।