নিজস্ব প্রতিবেদক: বৃষ্টি আর পূজা ঘিরে সবজি বাজার তেঁতে উঠেছিল। এখনো তার রেশ চলছে। বেশির ভাগ সবজির দর কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি উত্তাপ কাঁচামরিচে। কয়েকদিনে ব্যবধানে মরিচের দর বেড়েছে কেজি প্রতি ২শ’ থেকে ৩শ’ টাকা। বেগুনের দাম কমছেই না। আজ ৪ অক্টোবর ইলিশ বিক্রি শেষ হচ্ছে। এজন্য বাজারে ইলিশের আমদানি বেশি। কিন্তু দাম চড়া।
যশোর বড় বাজারের সবজির খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, এমনিতেই বর্ষার সময় সবজির উৎপাদন ও জোগান কম থাকে। এর মধ্যে দুই-তিন দিন ভারি বৃষ্টি হয়েছে। ফলে ক্ষেতে পানি জমে আছে। এ কারণে উৎপাদন এলাকা থেকে বাজারে সবজি কম আসছে।
আড়তদাররা জানান, তারা কমিশনে সবজির ব্যবসা করেন। ফলে দাম কম-বেশির পেছনে তাদের ভূমিকা নেই। দাম নির্ভর করে সরবরাহের ওপর। তবে বিভিন্ন উৎসব কিংবা বৃষ্টির অজুহাতে বাজারে যেভাবে দর বাড়ে, তা অযৌক্তিক।
ভোক্তাদের অভিযোগ, ব্যবসায়ীরা নানা অজুহাতে দাম বাড়ান। সরকারের নজরদারি না থাকলে তারা সুযোগ পেয়ে যান। ব্যবসায়ীরা একবার জিনিসপত্রের দাম বাড়ালে আর কমাতে চান না। এতে সবচেয়ে বেশি ভোগেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ।
শুক্রবার বাজারে গিয়ে দেখা গেছে-কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে। বেগুন ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ১২০, বরবটি ৮০ থেকে ১০০, করলা ৮০ থেকে ১০০, পটোল ৬০ থেকে ৭০, ধুন্দল ও ঝিঙা ৬০ থেকে ৮০, ঢেঁড়শ ৬০ থেকে ৮০, কাঁকরোল ৭০ থেকে ১০০ টাকা এবং চিচিঙ্গা ৫০ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। পাশাপাশি প্রতি পিস লাউ ৫০ থেকে ৭০ টাকা, টমেটো ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, শসা ৬০ থেকে ৮০ টাকা ও চায়না গাজর ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।
যেখানে খুচরা পর্যায়ে ব্রয়লারের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা দরে। সেখানে বেগুন ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা আর কাচা মরিচ ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। পাতি হাস ৩৫০ টাকা কেজি, রাজহাস ৫শ’ টাকা কেজি, সোনালী ৩শ’ থেকে ৩২০, দেশি মুরগী সাড়ে ৫শ টাকা বিক্রি হয়। ৪ অক্টোবরের মধ্যে ইলিশ ধরা ও বিক্রি বন্ধ হচ্ছে। একারনে বাজারে পর্যাপ্ত ইলিশ আমদানি হলেও দাম নাগালের বাইরে। ফলে জাটকা কিনে ইলিশের স্বাদ মেটাচ্ছে মানুষ।