শালিখা প্রতিনিধি : শালিখা উপজেলার গঙ্গারামপুর, বুনাগাতি, আড়পাড়া, শতখালি, ধনেশ্বরগাতি ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের শতশত হেক্টর জমি পানির নিচে। পাট কাটার পরে কৃষকরা এই সমস্ত জমিতে ধান লাগিয়েছিল। কিন্তু সব ধান এখন পানির নিচে। এছাড়া শত শত একর জমির সবজিও নষ্ট হয়ে গেছে। সব থেকে বড় ক্ষতি হয়েছে পাটের। অতিবৃষ্টিতে আগে পাট তলিয়ে যাওয়ার কারণে বড় হতে পারেনি। ফলে পাট উৎপাদন খুব কম হয়েছে। যেখানে হবার কথা এক মন সেখানে হয়েছে ১০ কেজি। এবার পাটের দাম বেশি হলো উৎপাদন কম হয়েছে। ফলে কৃষকদের তেমন লাভ হচ্ছে না। মধুখালী প্রাইমারি স্কুল, চটকা বাড়ি প্রাইমারি স্কুলসহ বিভিন্ন প্রাইমারি স্কুল এখন পানির নিচে। এছাড়া ভাটোয়াল মাঠ সম্পূর্ণ তলিয়ে গেছে। এখানে রাস্তাঘাট ও পানির নিচে। নটা ইউনিয়নের ইছামতের বিল পানিতে থৈ থৈ করছে। এবছর ধান লাগিয়ে কিছু করা খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অতিবৃষ্টির কারণে অনেক রাস্তাঘাটে চলাচল করা খুব অসম্ভব। জেলার প্রায় দুই শতাধিক মাছের ঘের তলিয়ে লাখ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। বেরোল পলিতা ইউনিয়নের সমস্ত মাঠে এখন পানি আর পানি। সমস্ত মাছের ঘেরই এখন পানির নিচে। অনেকেই বলেছেন এবছর অতিবৃষ্টিতে যে রকম ক্ষতি হয়েছে অনেক বছর এরকম ক্ষতি হয়নি।