Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

❒চালুর বিষয়ে কোনো নির্দেশনা আসেনি-জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার

যশোরে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩ বছর ধরে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন অকেজো

এখন সময়: বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর , ২০২৫, ০৭:১৭:৩৪ এম

মিরাজুল কবীর টিটো: যশোর জেলার সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন তিন বছর ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে। মেশিন নষ্ট থাকায় এনালগ পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের খাতায় হাজিরা নেয়া হচ্ছে। অথচ এ মেশিন চালুর ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে না।

শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল কার্যক্রমের আওতাভুক্ত করার লক্ষ্যে ২০১৮ সালে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন স্থাপনের কার্যক্রম শুরু করা হয়। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে অর্থায়নে জেলার ১ হাজার ২৯৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থাপন করা হয় ডিজিটাল হাজিরা মেশিন। এরপর চালু করা হয় মাল্টিমিডিয়া পদ্ধতিতে পাঠদান কার্যক্রম।

অথচ মাল্টিমিডিয়া পদ্ধতিতে পাঠদান কার্যক্রম থাকলেও তিন বছর ধরে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন অকেজো হওয়া এনালগ পদ্ধতিতে খাতায় শিক্ষার্থীদের হাজিরা নেয়া হচ্ছে।

সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জেসমিন আক্তার জানান, বিদ্যালয়ের এ মেশিন স্থাপনের এক বছর পর স্কীন ঘোলা হয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। তখন মেশিন আর কাজ করতো না। এজন্য খুলে রাখা হয়েছে।

ইন্সটিটিউট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দা শিরিন সুলতানা জানান, ডিজিটাল হাজিরা মেশিন স্থাপনের দেড় বছর পরে আঙ্গুলের ছাপ নিতো না। ২০২০ সালে করোনা ভাইরাসের সময় বিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন পুরোপুরিভাবে নষ্ট হয়ে গেছে। এখন খাতায় শিক্ষার্থীদের হাজিরা নেয়া হচ্ছে। একই কথা বলেন উপশহর শহিদ স্মরণী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহজাদ হোসেন বাবু।

অথচ ডিজিটাল হাজিরা মেশিন চালুর বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে না।

সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মাহাবুবুর রহমান জানান-ডিজিটাল হাজিরা মেশিন সংস্কার বা নতুন করে স্থাপনের জন্য শিক্ষা অধিদপ্তরে থেকে কোনো বরাদ্দ নেই। এ কারণে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন চালু বিষয়ে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। একই কথা বলেন চৌগাছা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান।

এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আশরাফুল আলম বলেন, ডিজিটাল হাজিরা মেশিন চালু বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে কোনো নির্দেশনা আসেনি।

 

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)