মিরাজুল কবীর টিটো : বৃষ্টিতে যশোর উপশহর এলাকার অধিকাংশ রাস্তার বেহালদশা হয়েছে। চলাচল করতে গিয়ে পথচারী, এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রাস্তার পানি বের হওয়ার কোন ব্যবস্থা না থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
তবে হাউজিং এস্টেটের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আশিক আহম্মেদ সাকিব জানান- প্রকল্প না আসায় রাস্তাগুলো সংস্কার করা যাচ্ছে না।
এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, স্থানীয় বিব্লক বাজারের রাস্তা, উপশহর ক্লাব থেকে পার্কে যাওয়ার রাস্তা, ডিব্লক প্রাইমারি স্কুলের সামনে, উপশহর মহিলা কলেজের সামনে, নিউটাউন বালিকা বিদ্যালয়ের পূর্বপাশের রাস্তা, হাউজিং এস্টেটের দশতলা ফ্লাটের উত্তর পাশের রাস্তা,সারথী মিলের পশ্চিম পাশের রাস্তার অবস্থা বেহাল।
এলাকার পুরাতন বাজার বি ব্লক বাজারে ভেতরের রাস্তা দিয়ে অনেক মানুষ যাতায়াত করে। প্রতিদিন শিক্ষার্থীরা উপশহর কলেজ, নিউটাউন বাদশাহ ফয়সল স্কুলে যায়। বিভিন্ন কাজে অনেক মানুষ ইউনিয়ন পরিষদে যায়। এ বাজারে রাস্তায় পানি জমে খোয়াপিচ উঠে গিয়ে ছোটবড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। উপশহর ক্লাব থেকে পার্কে যাওয়ার রাস্তায় ২০২০ সালে হাউজিং কর্তৃপক্ষ নতুন করে সংস্কার করে। সংস্কারের সময় ডিব্লক প্রাইমারি স্কুলের পশ্চিম পাশে কালভার্টের তুলনায় নিচু করে নির্মাণ করা হয়। একই অবস্থা উপশহর ক্লাবের সামনে। বৃষ্টি হলে এ রাস্তায় পানি জমে থাকায় পানির মধ্যে চলাচল করতে হচ্ছে এলাকাবাসি ও শিক্ষার্থীদের।
আরেকটি গুরত্বপূর্ণ রাস্তা নিউটাউন বালিকা বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশের রাস্তা। এ রাস্তা দিয়ে উপশহর ও নওয়াপাড়াবাসী চলাচল করে। শিক্ষার্থীরা রাস্তা দিয়ে স্কুলে আসে। এ রাস্তায় অনেক ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে স্কুলের পূর্ব পাশের একটি বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে । একারণে স্কুলের পাশে রাস্তার বেশ কিছু অংশের পিচ উঠে গিয়ে কাচা রাস্তায় পরিণত হয়েছে। বৃষ্টি হওয়ায় কাদাপানি জমে থাকে। তখন এলাকাবাসীর চলাচল করা দায় হয়ে পড়ে।
উপশহর মহিলা কলেজের রাস্তাটি বর্তমানে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রাস্তার পূর্ব পাশের অংশের পিচ উঠে গিয়ে কাচা রাস্তায় পরিণত হয়েছে। বৃষ্টি হওয়ায় সেখানে কাদা পানি জমে থাকে। তার মধ্য দিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কলেজে আসতে হয়।
সারথী মিলের পশ্চিম পাশের রাস্তার ও হাউজিং এস্টেটের ১০ তলা ভবনের উত্তর পাশের রাস্তাটি ২০ বছরেও সংস্কার করা হয়নি।
২০১৯ সালে উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় হাউজিং এস্টেট কোটি টাকার রাস্তা ও ড্রেন নির্মান কাজ শুরু করে। ২০২০ সালে কাজ শেষ হওয়ার আগে প্রকল্প শেষ হয়ে যায়। টাকা ফেরত চলে যায়। এসময়ে মধ্যে এলাকার কয়েকটি রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণ করা হয়। এর পাশাপাশি চার থেকে পাঁচটি রাস্তা নির্মান করা হলেও ড্রেন নির্মান করা হয়নি। ড্রেন নির্মাণ করাই পানি বের হওয়ার ব্যবস্থা না থাকায় রাস্তায় গুলোতে পানি জমে খোয়া পিচ উঠে গিয়ে গর্তে সৃষ্টি হয়েছে। পথচারী ও এলাকাবাসীর চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
হাউজিং এস্টেটের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আশিক আহম্মেদ সাকিব জানান-প্রকল্প না আসায় রাস্তা সংস্কার করা যাচ্ছে না। প্রকল্প আসলে রাস্তা সংস্কার করা হবে।