মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি: মণিরামপুরে প্রতিবন্ধী এক নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দুই বন্ধু মিলে ধর্ষণ করায় ওই প্রতিবন্ধী নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন। কিন্তু তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করায় দুই বন্ধু বিপ্লব হোসেন মনির ও রাজু আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। রোববার গভীর রাতে পুলিশ মনির ও রাজুকে আটক করে। সোমবার পুলিশ তাদের আদালতে চালান দিয়েছে। পুলিশ ওই নারীকে উদ্ধারের পর হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই নারী এখন ৫ মাস ২৮ দিনের অন্তঃসত্ত্বা।
পুলিশ জানায়, মণিরামপুর উপজেলার রোহিতা ইউনিয়নের স্মরণপুর এলাকার এক কৃষকের প্রতিবন্ধী মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ৩ জানুয়ারি প্রতিবেশী লুৎফর রহমানের ছেলে রাজু আহমেদ ও তার বন্ধু বিপ্লব হোসেন মনির ধর্ষণ করে। বিপ্লব হোসেন মনির ঝিকরগাছা উপজেলার ফলাসাতপুর গ্রামের মৃত দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।
প্রতিবন্ধী ওই নারীর মা জানান, বিষয়টি জানাজানি হবার পর মনির ও রাজু কৌশলে তার মেয়েকে পুনরায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পৃথক স্থানে নিয়ে আবারও ধর্ষণ করে। অভিযোগ রয়েছে বিষয়টি নিয়ে এলাকার স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী মীমাংসার উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হয়। এরই মধ্যে ওই প্রতিবন্ধী নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। কিšুÍ দুই বন্ধুর মধ্যে কেউ ওই নারী ও তার গর্ভের সন্তানের দায়িত্ব (বিয়ে করে স্বীকৃতি) নিতে অস্বীকার করেন। ফলে উপায়ন্ত না পেয়ে প্রতিবন্ধীর মা বাদি হয়ে রোববার রাতে রাজু ও মনিরের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।
মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলুর রহমান খান মামলার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে রাজু ও মনিরকে আটক করা হয়। এছাড়া ওই প্রতিবন্ধী নারীকে উদ্ধারের পর যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষায় ওই নারী এখন পাঁচমাস ২৮ দিন অন্তঃসত্ত্বা। এ ব্যাপারে ওই নারীর সাথে মনির ও রাজুর রক্তের ডিএনএ টেষ্টের ব্যবস্থা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।