শৈলকুপা (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি : ঝিনাইদহ জেলা ও শৈলকুপা উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি এবং উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জোয়ার্দ্দারের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার দুপুরে শৈলকুপা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য বিল্লাল হোসেন সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় একাধিক ক্ষতিগ্রস্তরা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে বিল্লাল হোসেন জানান, তার ছেলে রাকিবুল সোমবার সন্ধ্যার দিকে শৈলকুপা থেকে বাড়ি ফেরার পথে চামটাইলপাড়া মোড়ে পৌঁছুলে নাগপাড়া গ্রামের ইয়ামিন, রাকিব, ইউসুপ মন্ডল সেলিম, নাজমুল হোসেন নাগপাড়া গ্রামের শহিদুল মন্ডল, গোলাম আলী ও মুসা আরো কয়েকজন লোহার রড, হাতুড়িসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, গ্রাম্য রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বশত জেলা ও শৈলকুপা উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার তার বাহিনী দিয়ে হাট ঘাট বালিমহল দোকানপাট জমাজমিসহ বিভিন্ন দখলবাজি চাঁদাবাজি এবং সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। ৫ আগস্টের পর থেকেই ইউনিয়নের মানুষকে জিম্মি করে তার সরাসরি স্পষ্ট মদদে বেপরোয়া দাপুটে বাহিনী তৈরি করে এলাকা অতিষ্ঠ করে ফেলেছে।
বিল্লাল হোসেন বলেন, নজরুল জোয়ার্দ্দারের লালিত বাহিনীর বিরুদ্ধে এলাকার নির্যাতিত নিপিড়ীত মানুষ ভয়ে কেউ মুখ খোলে না। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সাথে সাথে তার বাহিনীর অত্যাচারের বিরুদ্ধে কথা বলায় গত ৩০ আগস্ট হরিহরা গ্রামের তারিকুল ইসলাম তুর্কি ও অ্যাডভোকেট ইশারাত হোসেন খোকনের বাড়ি ভাঙচুর লুটপাট করেছে। ৮ মার্চ সন্ধ্যা রাতে গোবিন্দপুর গ্রামের ব্যবসায়ী পিকুল হোসেনকে চরপাড়া ব্রীজে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষতার কারণে আটক করে মারধর করে। হরিহরা সাহেব আলী নামের এক সাধারণ কৃষকের বাড়ি গভীর রাতে ভাঙচুর লুটপাট করেছে। ২৫ মার্চ সকালে খুলুমবাড়িয়া বাজারের ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেনের দোকান বন্ধ করে দোকান ঘর ছেড়ে দেয়ার দাবিতে মারপিট করে দোকানের চাবি নিয়ে গেছে তার বাহিনীর। ১৩ জানুয়ারি সকালে নাগপাড়া গ্রামে জমিজমার জের ধরে তার বাহিনী রুহুল আমিনের ভাই বিল্লালকে খুন করার চেষ্টা করে। আশির দশক থেকেই রাজনৈতিক ও পারিবারিকভাবে বেপরোয়া সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত। এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার বলেন, সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্য সঠিক নয় এবং সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবাদে তিনি মামলা হুমকি প্রদান করেন।