মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিনিধি: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে মৎস্যঘের সংক্রান্ত বিরোধের একটি শালিস বৈঠক স্থলে মারপিটে মহিউদ্দিন মহারাজ (৫০) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছে। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছেন তার ভাই শওকত আলী জোমাদ্দার (৫৫)। এ ঘটনায় শনিবার সকালে মোরেলগঞ্জ হাসপাতালের সামনে থেকে অভিযুক্ত সাবেক সেনা সদস্য মোঃ মিজানুর রহমানকে পুলিশ আটক করছে।
এ আগে গত শুক্রবার দুপুর ১২ টার দিকে জিউধরা ইউনিয়নের লক্ষীখালী পুলিশ ফাঁড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মহিউদ্দিন মহারাজ বরইতলা গ্রামের আবুবকর জোমাদ্দারের ছেলে।
নিহতের স্ত্রী সালমা বেগম ও স্থানীয়রা বলেন, ৪ বিঘা জমির একটি মৎস্য ঘেরের মধ্যে সাবেক সেনা সদস্য মিজানুর রহমান কিছু জমি পাবে বলে দাবি তুলে ঘেরর মাছ লুট ও ঘের দখলের অভিযোগ দায়ের করে থানায়। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য লক্ষীখালী ফাঁড়ি পুলিশের ওপর দায়িত্ব দেন। সে অনুযায়ী ফাঁড়ির আইসি এসআই মো. সাইদুর রহমান শুক্রবার দুই পক্ষকে কাগজপত্র ও মনোনীত শালিসিদের নিয়ে ফাঁড়িতে আসতে বলেন।
সালিশ বৈঠক চলাকালিন আইসি সাইদুর রহমান অনুপস্থিত থাকায় পক্ষদ্বয় ফাঁড়ির সামনে রাস্তায় বাকবিতণ্ডায় জড়ায়। এ সময় অভিযোগের বাদি সার্জেন্ট (অব:) মিজানুর রহমান ও তার সহযোগীরা বিবাদী মহিউদ্দিন মহারাজ এবং তার বড় ভাই শওকত জোমাদ্দারসহ ৪-৫জনকে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।
আহত দুই ভাইকে প্রথমে মোংলা সদর হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করে। সেখানে তার অবস্থা আরো অবনতি হওয়ায় ঢাকায় নেওয়ার পথে শুক্রবার দিবাগত রাত ৩ টার দিকে মহিউদ্দন মহারাজ মারা যায়। শনিবার সকালে তার মরদেহ মোরেলগঞ্জ থানায় নিয়ে আসা হয়।
মোরেলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রাকিবুল হাসান বলেন, ফাঁড়ির আইসি না থাকায় পক্ষদ্বয় মারপিটে লিপ্ত হয়। এতে আহত মহিউদ্দিন মহারাজ মারা যায়। তার লাশ পোস্টমর্টেম করাতে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার মূল অভিযুক্ত মিজানুর রহমানকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্ততি চলছে।