কেশবপুর প্রতিনিধি : কেশবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৩ হাজার ৭শ’ শিক্ষার্থীর জন্য বই পাওয়া গেছে ১ লাখ ১১ হাজার ৭০৫ জন। তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বই ছাড়া অন্যান্য বই বাকী রয়েছে। ইতিমধ্যে শ্রেণী কক্ষে পাঠদান শুরু হওয়ায় তিন শ্রেণীর শিক্ষার্থী অভিভাবক হতাশ হয়ে উঠেছে।
কেশবপুর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ১৫৮ টি ও কিন্ডার গার্টেন রয়েছে ১২ টি। ১ম শ্রেণী থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থী রয়েছে ২৩ হাজার ৭০১ জন। এরমধ্যে প্রথম শ্রেণীতে শিক্ষার্থী ৫ হাজার ৩০, দ্বিতীয় শ্রেণীতে ৫ হাজার ৮০, তৃতীয় শ্রেণীতে ৪ হাজার ৭৪৭, চতুর্থ শ্রেণীতে ৪ হাজার ৬১৭ ও ৫ম শ্রেণীতে ৪ হাজার ১৯৭ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য সরকারি বই পেয়েছে ১ লাখ ১১ হাজার ৭০৫ কপি। এরমধ্যে প্রথম শ্রেণীতে শিক্ষার্থীর জন্য বই পেয়েছে ১৫ হাজার ৯০, দ্বিতীয় শ্রেণীতে ১৫ হাজার ২৪০, তৃতীয় শ্রেণীতে ৮২ হাজার ৪৮৫, চতুর্থ শ্রেণীতে ২৭ হাজার ৪০৫ ও ৫ম শ্রেণীতে ২৫ হাজার ১৮৫ কপি বই পেয়েছে। তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বই ছাড়া বাকী রয়েছে। এদিকে মধ্যম জানুয়ারি শেষ হওয়ার আগেই শ্রেণী কক্ষে পাঠদান শুরু হয়েছে। যার কারণে তিন শ্রেণীর শিক্ষার্থী অভিভাবকরা হতাশ হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ বাকী বই নেয়ার জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসে ভীড় করছে। উপজেলার সুজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হুসনে আরা দৈনিক স্পন্দনকে বলেন, তার বিদ্যালয়ের তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য তাদের অভিভাবকরা প্রতিনিয়ত বিদ্যালয়ে এসে বই নেয়ার জন্য তাগেদা দিচ্ছে।
এবিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার শেখ আব্দুর রবের সাথে মঙ্গলবার সকালে দৈনিক স্পন্দনকে বলেন উপজেলায় ১৪ টি কিন্ডার গার্টেন রয়েছে। এরমধ্যে ৬ টি কিন্ডার গার্টেন ছাড়া বাকী গুলোর কোনো সরকারি রেজিস্ট্রেশন নেই। তারপরেও তারা তাদের কিন্ডার গার্টেনের শিক্ষার্থীদের সরকারি বই নেয়ার জন্য প্রতিনিয়োত অফিসে ভীড় করছে। তাছাড়া তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর অর্ধেক বই না পাওয়া পর্যন্ত খুব বিড়ম্বনায় রয়েছি। তবে বাকী বই গুলো খুব তাড়াতাড়ি পাওয়া যাবে বলে জানান।