নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর সদরের হালসায় ব্যবসায়ীকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে পুলিশের এক কর্মকর্তাসহ দুই জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার হালসা গ্রামের মৃত লুৎফর রহমানের ছেলে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া অভিযোগের তদন্ত করে ডিবিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলো, কোতয়ালি থানার সাবেক এএসআই শেখ সুজাত আলী ও সদরের হালসা গ্রামের মৃত আব্দুর রব মোল্লার ছেলে শামছুজ্জামান মিলন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ফারুক হোসেন একজন ব্যবসায়ী। আসামি এএসআই শেখ সুজাত আলীর সহযোগিতায় অপর আসামি শামছুজ্জামান মিলন তার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা না দেয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা দেয়ার হুমকি দেয়। ২০১৬ সালের ১ অক্টোবর রাত ১০টার দিকে আসামি এএসআই শেখ সুজাত আলী ও শামছুজ্জামান মিলনসহ অপরিচিত ২/৩ জন পুলিশ সদস্য একটি মাইক্রোবাসে করে তার বাড়িতে যায়। এ সময় ফারুক হোসেনকে ধরে তারা ১০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে মারপিট করে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। তাকে পতেঙ্গালী গ্রামের ফাঁকা মাঠের মধ্যে নিয়ে চোখ ও মুখ কলো কাপড় দিয়ে বেঁধে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে ফের ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসামিরা। তখন প্রাণ বাঁচাতে তার ভাই খোরশেদ আলীর কাছে মোবাইল করে ১০ লাখ টাকা নিয়ে আসতে বলে ফারুক হোসেন। এরপর খোরশেদ আলী ১০ লাখ টাকা নিয়ে পতেঙ্গালীর মাঠে গিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। কিন্তু পুলিশ তাকে ছেড়ে না দিয়ে পরদিন একটি মামলা দিয়ে আদালতে চালান দিয়ে দেয়। আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় জামিনে মুক্তি পেয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে আইননী ব্যবস্থা গ্রহণকরা যায়নি। পরিবেশ অনুকূলে আসায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।