Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

❒বার্ষিক পরীক্ষার মাত্র ৩ দিন বাকি

ভবদহ অঞ্চলে দোকান রাস্তায় মন্দিরে চলছে পাঠদান

এখন সময়: শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর , ২০২৪, ০৫:২৫:২৮ পিএম

 

 

অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি: যশোরের অভয়নগরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষার আর মাত্র ৩দিন বাকি রয়েছে। অথচ ভবদহ অঞ্চলের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণি কক্ষে পানি থৈ থৈ করছে। যে কারণে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এখনো স্কুলের ভবনে উঠতে পারেনি। রাস্তায় দোকান মন্দিরে অথবা কারো বাড়ির বারান্দায় চালাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পাঠ দান কর্যক্রম। এলাকাবাসীর অভিমত এভাবে শিক্ষা কার্যক্রম ফলপ্রসূ হয়না।

বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে উপজেলার ডুমুরতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, তাদের শ্রেণি কক্ষে পানি। বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার রাস্তায় পানি থৈ থৈ করছে। যে কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিরাট ঠিকাদারের দোকানের বারান্দায় একটি ছোট জায়গার এক পাশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ও অন্য পাশে ডুমুরতলা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাস করছে।

এলাকাবাসী জানায়, বটতলা কালি মন্দিরে ক্লাস হচ্ছে। মন্দিরের ভিতরে সামান্য জায়গায় দুই তিন শ্রেণির পাঠদান করা হচ্ছে। বিদ্যালয়ে যাওয়ার মত পরিবেশ নেই, বিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকা টানিয়ে রেখে মন্দিরে কোন রকম শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

উপজেলার ডুমুরতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পলাশ মল্লিক বলেন, বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষে ক্লাস নেয়ার মত পরিবেশ নেই। বিদ্যালয়ের ভবনে পানি, রাস্তায় জল, কিভাবে কমলমতি শিক্ষার্থীদের নিয়ে জলের মধ্যে ক্লাস নেব। এটিও স্যার এক সময় আমাদের শ্রেণি কার্যক্রম স্থগিত করে দিয়েছিলেন। বার্ষিক পরীক্ষা সমনে যে কারণে আমাদের অনুরোধে আপাতত এখানে ক্লাস করার অনুমতি দিয়েছেন। আমরা সেভাবে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে।

উপজেলার বেদভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীলিপ কুমার বৈরাগী বলেন, আমরা দোকান ঘরের বান্দায় শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করছি। এভাবে শিক্ষা কার্যক্রম ফলপ্রসূ হয় না। তারপরও শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার কথা চিন্তা করে পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মাদ আবুল কাশেম বলেন, অভয়নগরে এ বছর ১৩ হাজার ৩৪৫ পরীক্ষার্থী রয়েছে। যার মধ্যে তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির পরীক্ষার হলো ৭ হাজার ৭৩৫ জন। ১৬ বিদ্যালয় পানিবন্দি ছিলো। এখনও ৪টা বিদ্যালয়ে পানি রয়েছে। সেসব বিদ্যালয় হলো, আন্ধা-১শ জন, বেদভিটা-৪৩ জন, আড়পাড়া ৫৯জন, ডুমুরতলা ৪৯ পরীক্ষার্থী রয়েছে। পরীক্ষার আর মাত্র ৩ দিন বাকি। সরকার নির্ধারিত ২ ডিসেম্বর তারিখে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হবে।

 

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)