শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: শ্যামনগরের জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা চিংড়ি প্রকল্প করে জমির মালিকদের হারির টাকা পরিশোধ না করে হামলা মামলা করায় জমি ফেরত ও হারির টাকা পরিশোধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে।
সোমবার বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে জমির মালিকদের পক্ষে কালিগঞ্জ উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের রবিউল্লাহ বাহার বলেন, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুস সাত্তার মোড়ল ঝাপা মৌজায় ৪শ’ একর জমি ডিড করেন এবং বিসমিল্লাহ ফিস নামের চিংড়ি প্রকল্প করে বছর বছর আমিসহ জমির মালিকদের হারির টাকা পরিশোধ না করে ঘের পরিচালনা করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর আব্দুস সাত্তার মোড়ল বিএনপি নেতা ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদুল ইসলাম আমজাদকে চিংড়ি প্রকল্পে শেয়ার দিয়ে হারির টাকা থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করেছে। মানববন্ধনে আব্দুস সাত্তার মোড়ল ও চেয়ারম্যানের বিকৃত ছবি দিয়ে প্লেকার্ড পরিদর্শন করেছেন।
রবিউল্লাহ বাহার আরো বলেন, জমির মালিকরা হারির টাকা দাবি করলে টাকা না দিয়ে নিরীহ জমির মালিকদের নামে মামলা এবং হামলা করে যাচ্ছে। এজন্য জমির মালিকদের সাথে নিয়ে জমি ফেরত ও হারির টাকা দারি করে মানববন্ধন করে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি ।
মানববন্ধন শেষে মানববন্ধনকারীরা ফিরে যাওয়ার সময় পাখীমারা খেয়াঘাটে আসলে জনতা মানববন্ধন কারীদের গতিরোধ করে চেয়ারম্যানের ছবিবিকৃত ও কুটূক্তি করায় প্রতিবাদ করে। এ সময় চেয়ারম্যান খবর পেয়ে ঘটন স্থলে এসে উত্তেজিত জনতাকে বাধা দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেন। এ ব্যাপারে পদ্মপুকুর ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদুল ইসলাম একটি সমাবেশ করে তার ছবি বিকৃতকরায় এবং তার বিরুদ্ধে কুটূক্তি করায় প্রতিবাদ জানান।
প্রতিবাদে চেয়ারম্যান বলেন, আমি কাগজপত্র সঠিক দেখেছি এবং হারির টাকা পরিশোধ দেখে ঘেরের পার্টনার হয়েছি। তিনি বলেন আমি কাগজ পত্রে দেখেছি যে টাকা তারা গ্রহণ করেনি তার টাকা মৎস্য অফিসে জমা রয়েছে। আমি ২০২৪ সাল থেকে ঘেরের পার্টনার হয়ে যথা নিয়মে হারির টাকা পরিশোধ করে মাছ ছেড়ে ঘের পরিচালনা করে আসছি। অথচ সম্প্রতি সন্ত্রাসী রবিউল্লাহর নেতৃত্বে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রবিউল্লাহ ও তার দলবল আমার ঘের দখল করে নিয়ে আমার ছাড়া মাছ লুটপাট করছে যে কারণে আমি সাতক্ষীরা আদালতে মামলা করেছি। মামলাটি আদালত আমলে নিয়ে ঘেরটি রিসিভার নিয়োগ দিয়েছেন।