কেশবপুর প্রতিনিধি : কেশবপুর উপজেলার ৪ জন আওয়ামী লীগের মনোনীত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গত দুই মাস যাবত পরিষদে অনুপস্থিত রয়েছেন। যার কারণে পরিষদের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
কেশবপুর উপজেলায় ১১ টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মধ্যে ৩ নম্বর মজিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের হুমায়ুন কবির পলাশ, ৬ নম্বর কেশবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের অধ্যাপক আলাউদ্দিন আলা ও ১০ নম্বর সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের গোলাম মোস্তফা বাবু বিএনপির মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী হয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় তারা যথারীতি পরিষদের চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। তাছাড়া ১ নম্বর ত্রিমোহীনি ইউনিয়ন পরিষদের এস এম আনিসুর রহমান, ২ নম্বর সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের কাজী মুস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত, ৪ নম্বর বিদ্যানন্দকাটী ইউনিয়ন পরিষদের আমজাদ হোসেন ও ৮ নম্বর সুফলাকাটী ইউনিয়ন পরিষদের এস এম মনজুর রহমান আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত এবং ৫ নম্বর মঙ্গলকোট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের বিশ্বাস,৭ নম্বর পাঁজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জসিমউদদীন, ৯ নম্বর গৌরিঘোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম হাবিবুর রহমান ও ১১ নম্বর হাসানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম তৌহিদুজ্জামান আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী হয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় গত দুই মাস তারা বাসাবাড়ি ও পরিষদ ত্যাগ করে আত্মগোপনে ছিলেন।
গত ৫ আগস্ট দেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরে বিএনপির মনোনীত ৩ জন চেয়ারম্যান বাদে অন্য ৮ জন ইউপি চেয়ারম্যান তাদের পরিষদ ও বাসাবাড়ি ছেড়ে দিয়ে আত্মগোপনে চলে যান। কিন্তু আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও বিএনপির মনোনীত ধানের শীষের চেয়ারম্যান গণ ইউনিয়ন পরিষদের স্বাভাবিকভাবে কাজে ফিরলেও আওয়ামী লীগের নৌকার মনোনীত ৪ জন চেয়ারম্যান মঙ্গলকোট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের বিশ্বাস, পাঁজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জসিমউদদীন, গৌরিঘোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম হাবিবুর রহমান ও হাসানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তৌহিদুজ্জামান গত দুই মাস যাবৎ তারা পরিষদে না ফিরে আতœগোপনে রয়েছেন। যার কারণে ইউনিয়ন পরিষদের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
এ বিষয়ে ওই সব ইউপি চেয়ারম্যানের মুঠোফোন বন্ধ থাকার কারণে তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে মঙ্গলকোট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের বিশ্বাস এর ঘনিষ্ঠ জনেরা বলেন তার ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়টি গত দুই মাস যাবত কে বা কারা তালাবদ্ধ করে রেখেছেন। যার কারণে নিরাপত্তার জন্য তিনি নিজ বাসায় অবস্থান করছেন।
মঙ্গলকোট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের বিশ্বাস মুঠোফোনে দৈনিক স্পন্দনকে বলেন এখনো পরিষদে যাওয়ার মতো পরিবেশ হয়নি। তাছাড়া আমার পরিষদের কার্যালয়টি কারা যেনো তালা লাগিয়ে দিয়েছে। যার কারণে এখনো ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি।