নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরের দেশ ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি তাজরিন সুলতানা রুকুর মৃত্যুর ঘটনায় দুই চিকিৎসক ও পরিচালকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। বুধবার মণিরামপুরের কাশিপুর গ্রামের আব্দুল আলিম মামলাটি করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া অভিযোগের তদন্ত করে সিআইডিকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম লেন্টু।
আসামিরা হলো, শহরের ঘোপ নওয়াপাড়ার দেশ ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক (ব্যবস্থাপক) রাজু আহমেদ, ডা. সন্দীপ কুমার পাল ওরফে এস কে পাল (সার্জন), ডা. মনিরুল ইসলাম ও নার্স রানু।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, আব্দুল আলিমের ভাইজি তাজরিন সুলতানা রুকুর প্রসব বেদনা উঠলে গত ১৬ মে দিবাগত রাতে তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান স্বজনেরা। সেখানে দালালের খপ্পরে পড়ার কারণে স্বজনেরা তাকে দেশ ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে ভর্তি করেন। পরদিন সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আসামিরা ডা. সন্দীপ কুমার পালকে দিয়ে তাড়াহুড়ো করে তাজরিন সুলতানা রুকুর সিজার করান এবং একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু সিজার করার পর তাজরিন সুলতানা রুকুর তলপেট ফুলে শারীরিক অবনতি ঘটে। বিষয়টি আসামিদের জানালে তারা গুরুত্ব না দিয়ে তাকে ওই অবস্থায় ফেলে রাখেন।
আসামিরা চিকিৎসা না দিয়ে গত ১৯ মে রুকুকে ছাড়পত্র দিয়ে স্বজনদের খুলনা অথবা ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যেতে বলেন। এরপর তাজরিন সুলতানা রুকুকে খুলনা মেডিকেল কলেজে নিয়ে গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখানকার চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানান, তার কিডনি ও ফুসফুস নষ্ট এবং রক্তক্ষরণ হয়েছে। এ কারণে তাজরিন সুলতানা রুকুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যেতে বলা হয়। এ সময় কোনো উপায় না পেয়ে বিকেলে তাজরিন সুলতানা রুকুকে দ্রুত খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হলে রাত ৪টার দিকে মারা যায়। দেশ ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভুল চিকিৎসার কারণে তার ভাইজি তাজরিন সুলতানা রুকুর মুত্যু হয়েছে বলে তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।