নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪র্থ আদালতের এপিপি জ্যোৎস্না সাহা পুতুলের বিরুদ্ধে টাকা না দিলে সাক্ষ্যগ্রহণে সহযোগিতা না করার হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সদরের চাঁচড়া হঠাৎপাড়ার আব্দুস সাত্তারের ছেলে প্রতিবন্ধী বিল্লাল হোসেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারকের কাছে একটি অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগটি আমলে নিয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বর্ণালী রানী বিষয়টি তদন্ত করে দুদকের পিপিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। এই আদেশের কপি চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা আইনজীবী সমিতি ও পাবলিক প্রসিকিউটরের কাছে পাঠানো হয়েছে।
সাক্ষী বিল্লালের অভিযোগে জানা গেছে, তিনি একজন প্রতিবন্ধী ও একটি মামলার বাদী। গত ৪ জুলাই তিনি এ মামলার সাক্ষ্য দিতে আদালতে আসেন। এ সময় তার কাছে টাকা দাবি করেন আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত এপিপি। তখন বিল্লালের কাছে টাকা ছিল না। তারপরও তিনি এপিপিকে কিছু টাকা দেয়ার জন্য রাজি হন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, টাকা না দিলে তিনি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণে অংশই নেবেন না বলে হুমকি দেন ওই এপিপি। এ ছাড়াও বিল্লালের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করা হয়। সবার সামনে বিল্লালের পরিবারের লোকজনকে অপমান করেন এপিপি।
এ বিষয়ে এপিপি জ্যোৎস্না সাহা পুতুল সাংবাদিকদের বলেন, তিনি অসুস্থ। বাসায় চিকিৎসাধীন। আগে কোর্টে যাবেন। তারপরে এ বিষয়ে কথা বলবেন।
পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এম ইদ্রিস আলী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তিনি বিচারকের দেয়া আদেশের একটি অনুলিপি পেয়েছেন। সত্য না মিথ্যা এখনই কিছু বলা যাচ্ছেনা। যদি তিনি এমনটি করে থাকেন তাহলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।