Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

যশোর জেনারেল হাসপাতালে সরকারি ওষুধ বঞ্চিত রোগীরা

এখন সময়: শুক্রবার, ২৮ মার্চ , ২০২৫, ০৫:০১:১৩ এম

বিল্লাল হোসেন : যশোর জেনারেল হাসপাতালের রোগীরা সরকারি ওষুধ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রতি অর্থবছরে কোটি কোটি টাকার ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী কেনা হলেও রোগীরা সেগুলো ঠিকমতো পাচ্ছে না। বিগত দিনে সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) যশোর শাখার রিপোর্ট কার্ড জরিপেও ওষুধ বিতরণে অনিয়মের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে একাধিকবার।
চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে সরকারিভাবে এই হাসপাতাল থেকে ৮৪ প্রকারের ওষুধ সরবরাহের নির্দেশ আছে। এর মধ্যে ইডিসিএল ৪৪ প্রকার ওষুধ সরবরাহ করে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ও স্থানীয় অর্থে টেন্ডারের মাধ্যমে অবশিষ্ট ৪০ প্রকার ওষুধ কেনা হয়। ওষুধ ছাড়াও এসব কেনাকাটার মধ্যে চিকিৎসার বিভিন্ন সরঞ্জামও রয়েছে।
এর মধ্যে এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন সেফট্রিঅ্যাকসন, সেফ্রাডিন হাইড্রোকরটিসন, ওমিপ্রাজল, ম্যাট্রোনিডাজল, ক্যাসিন, ক্যাপসুল সেফ্রাডিন, ক্লিনডামাইসিন, এমোক্সসাসিলিন, সেফিক্সিম, ক্লিনডামাইসিন, ওমেপ্রাজল ৪০এমজি ও নাভিতে দেয়ার ইনজেকশন স্টক থেকে বিনামূল্যে সরবরাহের নির্দেশ রয়েছে।
এ ছাড়া ট্যাবলেট অ্যালবেনডাজল, কারভিস্টা, সেফুরএক্সিম, সিটিরিজিন, ইটোরাক, ইসোরাল, হিস্টাসিন, লপিরিল, লপিরিল প্লাস, লোসারটন, মন্টিলোকাস্ট, নেপরোস্কিন, অফলোক্সাসিন, প্যান্টোনিক্স, স্যালবোটল, রাবিপ্রাজল, কারভিস্টা, সিরাপ অ্যামব্রোক্স, বি-কমপ্লেক্স, সেফুরএক্সিম, ডমপেরিডন, লবুপ্রোফেন ও ড্রপ সিপরোসিন বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়।
বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়, ক্যামিক্যাল রি এজেন্ট, অপারেশনের জন্য বিভিন্ন সুতা, সার্জিক্যাল গজ, ব্যান্ডেজ, ক্যাথেটার, মাইক্রোপর, জিপসোনা, সপ্টরোল, ক্রেপ ব্যান্ডেজ রোল, সার্জিক্যাল গেøাভস ও সোফরাটোলা।
শফিয়ার রহমান নামে এক ব্যক্তি জানান, ঈদের কয়েক দিন আগে তার স্বজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোগীর চিকিৎসার জন্য সেফটিএক্সোন ও ওমিপ্রাজল ইনজেকশন বাইরে থেকে কিনে আনতে হয়েছে। আরও অনেক রোগীর স্বজন একই কথা জানিয়েছেন।
এনায়েতপুর গ্রামের বিলকিস বেগম জানান, তার মেয়েকে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার করা হয়। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ৫ হাজার টাকারও বেশি ওষুধ সামগ্রী কিনতে হয়েছে। দামি সুতা কিনতে হয় ৪টি। তাহলে হাসপাতালের সরবরাহকৃত সুতা যায় কোথায় এমন প্রশ্ন তার।
হাসপাতালটিতে অবস্থান করে দেখা গেছে, সরকারি এই চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠানে নি¤œ ও মধ্যবিত্ত পরিবারের রোগীরাই বেশি ভর্তি হন। আর্থিক সঙ্কটের কারণে তারা বেসরকারি হাসপাতালে যান না। তাদের ভরসা স্বল্প খরচে সরকারি হাসপাতালে সঠিক চিকিৎসা পাবেন। ওই সব রোগিরা হাসপাতালে ভর্তির পর পড়েন বেকায়দায়। মূল্যবান ওষুধ কিনতে গিয়ে রোগীর স্বজনেরা হাফিয়ে উঠছেন। তবে প্রভাবশালী বা প্রভাবশালী ব্যক্তির কোনো রোগী ভর্তি হলে দৃশ্যচিত্র ভিন্ন। চিকিৎসার জন্য প্রায় সব ওষুধই তাদের হাসপাতাল থেকে দেয়া হয়।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আব্দুস সামাদ জানান, তার জানা মতে রোগীদের প্রচুর পরিমাণে সরকারি ওষুধ দেয়া হয়। এ ছাড়া বর্তমানে কোনো ওষুধের সংকট নেই। রোগীরা কেনো ওষুধ পাচ্ছে না তা খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)