মিরাজুল কবীর টিটো : যশোরে কোরবানির পশুর কোনো ঘাটতি নেই। চাহিদার চেয়ে ৩০ হাজার ১৩৩টি পশু উদ্বৃত্ত। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রাশেদুল হক এ তথ্য জানিয়েছেন।
জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের দেয়া তথ্যানুযায়ী, যশোরে কোরবানির ঈদে পশুর চাহিদা ৯৬ হাজার ৭১৮। খামারিদের কাছে মজুদ আছে ১ লাখ ২৬ হাজার ৮৫১টি পশু। উদ্বৃত্ত ৩০ হাজার ১৩৩টি পশু।
সূত্রমতে, এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১৩৪০ খামারির কাছে মজুদ আছে ২০ হাজার ৭০৪টি পশু। চাহিদা ১৯ হাজার ৪২৯টি। উদ্বৃত্ত থাকবে ১২৭৫টি পশু। ২০ হাজার ৭০৪িটি পশুর মধ্যে মজুদ আছে মোটা গরু ৬ হাজার ৯৮৬। এর মধ্যে ষাড় ৫৪৭৬টি , বলদ ১০২৯টি, গাভী ৪৮১, ছাগল ১৩ হাজার ৮০ ও ভেড়া ৬৩৮টি।
ঝিকরগাছায় ১৩২০ খামারির কাছে মজুদ আছে ১৬ হাজার ৮২৩টি পশু। চাহিদা ১১ হাজার ৮২টি। উদ্বৃত্ত ৫৭৪১টি পশু। এর মধ্যে গরু ৩৬০৩টি, ষাড় ৩২১০টি, বলদ ৯৮টি, গাভী ২৯৫টি ও ছাগল ১৩ হাজার ২২০টি।
শার্শায় ১২৯৫ খামারির কাছে মজুদ আছে ১৭ হাজার ১৪২টি পশু। চাহিদা ১০ হাজার ৯৯৫টি। উদ্বৃত্ত ৬১৪৭টি পশু। এর মধ্যে গরু ৪০০২টি, ষাড় ৩৬৮২টি, বলদ ৩২০টি ও ছাগল ১৩ হাজার ১৪০টি।
মণিরামপুরে ২৫৩০ খামারির কাছে মজুদ আছে ১৯ হাজার ১৯২টি পশু। চাহিদা ১৪ হাজার ৫০১টি। উদ্বৃত্ত ৪৬৯১টি। এর মধ্যে গরু ৫৬৮২টি, ষাড় ৫৬৮২টি ও ছাগল ১৩ হাজার ৫১০।
কেশবপুরে ১৪০৩ খামারির কাছে মজুদ আছে ১৪ হাজার ৯৬টি পশু। চাহিদা ১১ হাজার ৮০২টি। উদ্বৃত্ত ২২৯৪টি। এর মধ্যে গরু ৩৮১৫টি, ষাড় ৩৩০৫টি, বলদ ৭৫টি, গাভী ৪৩৫টি, ছাগল ১০ হাজার ২৫৬টি ও ভেড়া ২৫টি।
অভয়নগরে ৮৪৩ খামারির কাছে মজুদ আছে ৮ হাজার ৭৬৫টি পশু। চাহিদা ৭ হাজার ৬২৮টি। উদ্বৃত্ত ১১৩৭টি পশু। এর মধ্যে গরু ১৯০৬টি, ষাড় ১৬০৩টি, বলদ ৭০টি, গাভী ২৩৩টি, ছাগল ৬৮৩৯টি ও ভেড়া ২০।
বাঘারপাড়ায় ২৭৯৯ খামারির কাছে মজুদ আছে ১২ হাজার ৯৭১টি পশু। চাহিদা ১০ হাজার ৯৫৬। উদ্বৃত্ত ২০১৫টি। এর মধ্যে গরু ৫৫৬৬টি, ষাড় ৪৩২৪টি, বলদ ৪২টি, গাভী ১২০০টি, ছাগল ৭২৮০টি ও ভেড়া ১২৫টি।
চৌগাছায় ২৬০৫ খামারির কাছে মজুদ আছে ১৭ হাজার ১৫৮টি পশু। চাহিদা ১০ হাজার ৩২৫টি। উদ্বৃত্ত ৬৮৩৩টি পশু। এর মধ্যে গরু ৮১১৮টি, ষাড় ৪৬০৩টি, বলদ ৫৯৫টি, গাভী ২৯২১টি ও ছাগল ৯০৪০টি।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রাশেদুল হক জানান, জেলায় কোরবানির পশুর কোনো ঘাটতি নেই। বরং চাহিদার চেয়ে উদ্বৃত্ত আছে ৩০ হাজার ১৩৩টি পশু। অন্য জেলায় কোরবানির পশু পাঠানো যাবে।