শরণখোলায় প্রবাসীর স্ত্রীর মৃত্যু নিয়ে রহস্য

এখন সময়: শনিবার, ২৭ জুলাই , ২০২৪, ১১:৪৪:৫৮ এম

 

শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি: ছেলে মেয়ে রেখে রাতে ঘর থেকে বাইরে বেশিক্ষণ অবস্থান করায় শাশুড়ি সন্দেহ করে পুত্রবধু পরকীয়ায় জড়িত হয়েছে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাক বিতণ্ডা হয়।  এ ঘটনার সূত্র ধরে বাগেরহাটের শরণখোলায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে মিম আক্তার (২৬) নামে দুই সন্তানের জননী এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে বলে স্বামীর পরিবার দাবি করলেও মেয়ের ফুফু দাবি করেছে তার ভাইয়ের মেয়েকে সুকৌশলে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ১৮ মে শনিবার সকালে উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের রথিয়া রাজাপুর গ্রামে। ওই নারী একই এলাকার মালায়শিয়া প্রবাসী রানা সাজ্জালের স্ত্রী।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রথিয়া রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা হাচেন সাজ্জালের ছেলে মালয়েশিয়া প্রবাসী রানা সাজ্জালের সাথে একই এলাকার মৃত আঃ হামিদের কন্যা মীম আক্তারের সাথে ৮-১০ বছর আগে বিয়ে হয়। মীমের স্বামী রানা সাজ্জাল ১ বছর আগে মালয়েশিয়ায় চলে যায়।

মীমের চাচা শাহজাহান জানায়, ১৭ মে রাত ১০ টার দিকে মীম প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিলে ঘরের বাইরে যায়। সেথান থেকে আসতে দেরি হওয়ায় তার ছেলে মেয়েরা কান্নাকাটি শুরু করে। এ সময়  শাশুড়ি এগিয়ে আসলে কিছুক্ষণ পর মীম ও বাইরে থেকে ঘরে আসে। মীম বাইরে বেশি ক্ষণ অবস্থান করায় শাশুড়ি তাকে সন্দেহ করে যে সে পরকীয়ায় জড়িয়েছে। এ নিয়ে বউ শাশুড়ির মধ্যে ওই রাতে তুমুল ঝগড়া হয়। পরে সকালে মীমের শাশুড়িসহ পরিবারের লোকজন মীমকে আঁড়ার সাথে ঝুলতে দেখে ডাক চিৎকার শুরু করলে অন্যরা ছুটে এসে তাকে ওখান থেকে নামিয়ে নিয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে শরণখোলা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) রাধেশ্যাম সরকারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে শরণখোলা থানায় নিয়ে আসে। ময়না তদন্তের জন্য লাশ বাগেরহাট সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

তবে মৃত মিম আক্তারের দুই ফুফু মনিয়ারা বেগম ও লাকি দাবি করেছেন, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তাকে সুকৌশলে মীমের শাশুড়ি হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে। এ ব্যাপারে মীমের শাশুড়ির সাথে যোগাযোগ করলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শরণখোলা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) রাধেশ্যাম সরকার জানান লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট মর্গে পাঠানো হয়েছে। এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা তদন্ত চলছে।