খুলনায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী ভর্তি বেড়েছে

এখন সময়: সোমবার, ৬ মে , ২০২৪, ০৪:৩৯:১২ এম

 

খুলনা প্রতিনিধি: তীব্র তাপদাহের মধ্যে খুলনা সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী ভর্তি বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসক, নার্স ও ওয়ার্ডবয়সহ অন্যান্য জনবল সংকট থাকায় সেবা বঞ্চিত হচ্ছে রোগীরা।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, তীব্র তাপদাহের কারণে চলতি মাসের শুরু থেকেই হাসপাতালটিতে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর পাশাপাশি বমি, পেটে ব্যথা, পাতলা পায়খানা ও বমি বমি ভাব নিয়ে রোগী ভর্তি বৃদ্ধি পেতে থাকে। চলতি মাসের গত ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত হাসপাতালটিতে ভর্তি হওয়া ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা সাড়ে তিন শতাধিক।

সূত্রমতে, হাসপাতালটিতে মাত্র ২০টি শয্যা। ১০ শয্যা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর জন্য বরাদ্দ থাকলেও হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ১৪টি বেডের ব্যবস্থা করেছেন। বাকি শয্যা অন্যান্য সংক্রামক রোগীর জন্য বরাদ্দ। পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃথক কোনো ওয়ার্ড নেই। নেই কোনো কেবিনের ব্যবস্থা। একই ওয়ার্ডে পুরুষ এবং মহিলাদের চিকিৎসা দেয়া হয়।

শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় শিশুদের প্রাথমিক চিকিৎসা বা পরামর্শ দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। হাসপাতালটিতে শিশুদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড, বেড কিংবা কেবিনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় শিশুরাও চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।  হাসপাতালটি থেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা সেবা না পেয়ে বিপাকে পড়তে হয় তাদের স্বজনদের। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তাদেরকে শিশু হাসপাতাল কিংবা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুঁটতে হয়।

হাসপাতালে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও মেডিকেল অফিসার ডা. হাবিবুর রহমান এই তীব্র তাপদাহে ছোট বাচ্চাসহ সবাইকে প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ খাবার পানি, তরল জাতীয় খাবার এবং খাবারের পূর্বে ভালোভাবে হাত ধুয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। পরামর্শ দিয়েছেন রাস্তার পাশে শরবত জাতীয় কোনো খাবার না খেতে।

তিনি বলেন, হাসপাতালে ওষুধ এবং কলেরার স্যালাইন পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে হাসপাতালটিতে শিশু বিশেষজ্ঞের কোনো পদ নেই। শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় চিকিৎসা নিতে আসা ১ বছরের নীচে শিশুদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না।

তিনি আরও বলেন, হাসপাতালটি জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। ছাদের পলেস্তারা খসে খসে পড়ছে। নতুন ভবন নির্মাণ একান্ত প্রয়োজন। জনবল দরকার পদায়িত চিকিৎসক আমি একজন। বাকি ৪ জন ডেপুটেশনে আছেন। ৫ জনকে বাই রোটেশন ২৪ ঘন্টা ডিউটি করতে হয়। ৬ জন নার্স যথেষ্ট নয়।

তিনি বলেন, হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার, নার্স এবং স্টাফদের কোয়ায়াটারগুলো দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। সমস্যা সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারবার তাগিদ দিলেও সমস্যার সমাধান হচ্ছে না।