গরমজনিত অসুস্থতায় হাসপাতালে রোগী ভর্তি বাড়েনি

যশোরে তাপের দহনের তুলনায় আক্রান্ত কম

এখন সময়: সোমবার, ৬ মে , ২০২৪, ০৬:৪৯:০৮ এম

 

বিল্লাল হোসেন: ‘সূর্যের তাপ বেশি থাকলেও শরীর ঘামছে কম। যার কারণে গরমে কম মানুষ অসুস্থ হচ্ছে। গরমে অসুস্থ হয়ে খুব বেশি রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন না। তীব্র তাপপ্রবাহে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে কেউ মারাও যাননি’। এমনটি বলেছেনÑ যশোর জেনারেল হাসপাতালের তথ্য কর্মকর্তা ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএরও) ডা. আব্দুস সামাদ। মৌসুমি রোগ থেকে রেহাই পেতে মানুষজনকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, যশোরে তাপমাত্রা কমে গেছে। অধিদপ্তরের ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিন ২২ এপ্রিল ছিল তাপমাত্রা ছিল ৪০  দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০ এপ্রিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয় যশোরে। সেই অনুযায়ী, বর্তমানে যশোরে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। আবহাওয়া অফিস বলছে, তাপমাত্রা কমে গেলেও জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে। কারণ, বাতাসে বিদ্যমান জলীয় বাষ্প তাপ ধরে রাখে।

মঙ্গলবার যশোর জেনারেল হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, গরমে অসুস্থ হয়ে খুব বেশি রোগী চিকিৎসাধীন নেই। শুধুমাত্র ডায়রিয়া ওয়ার্ডে রোগীর সামান্য চাপ রয়েছে। সেখানে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ২৯ রোগী চিকিৎসাধীন।

হাসপাতালের তথ্য কর্মকর্তা ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আব্দুস সামাদ জানিয়েছেন, হাসপাতালে গরমে আক্রান্ত হয়ে খুব বেশি রোগী ভর্তি হয়নি। মেডিসিন বিভাগ ও কার্ডিওলজি বিভাগে সব সময় রোগীর চাপ থাকে। মঙ্গলবার মোট ৫৫৬ রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন। এর আগে ৮ শতাধিক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। সেই তুলনায় এখন রোগীর সংখ্যা কম।

তিনি আরও বলেন, যেসব ব্যক্তি তীব্র রোদ উপেক্ষা করে দীর্ঘ সময় কাজ করছেন তাদের কেউ কেউ গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তাই মানুষকে সচেতন হতে হবে।

ডা. আব্দুস সামাদ বলেন, ‘ভাইরাল ফিভার’ বা মৌসুমি রোগ থেকে রক্ষা পেতে বেশি বেশি তরল ও ভিটামিন জাতীয় খাবার খেতে হবে। রোদে ঘোরাঘুরি করা যাবে না। খোলামেলা ও ঠান্ডা পরিবেশে শিশুদের রাখতে হবে ও বেশি বেশি পান করাতে হবে।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন অর রশিদ জানান, মঙ্গলবার পর্যন্ত হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে কোনো রোগী হাসপাতালে ভর্তি হননি। মৃত্যুর খবরও নেই। কড়া রোদ ও বৈরি আবহাওয়ার ভেতর বয়স্ক মানুষ ও শিশুদের সাবধানে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।