নিজস্ব প্রতিবেদক: সাইবার সিকিউরিটি এবং চাঁদাদাবি ও মানহানির মামলায় যশোর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুলের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক একেএম সফিকুল আলম চৌধুরী। অভিযুক্ত বিপুল যশোর শহরের পুরাতন কসবা ঘোষ পাড়ার জবেদ আলীর ছেলে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বেলা সোয়া একটার দিকে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পথে ডিআইজি রোডে বিপুলের সাথে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দেখা হয়। আনোয়ার হোসেন বিপুল সে সময় তাকে জানান যে, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করবেন। নির্বাচনের খরচের জন্য তার কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন বিপুল। টাকা দিতে না চাইলে নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখান। এমনকি তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করার হুমকি দেন। চাঁদা না পেয়ে বিপুল হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যান।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, এরই জের ধরে গত ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাতটার দিকে বিপুল তার নিজের ফেসবুক থেকে লাইভে এসে সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদধারী নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে মিথ্যা বানোয়াট ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেন। টেন্ডারবাজি করতে গিয়ে গণপিটুনি ও ফতেপুরে মহিলাদের ঝাঁটাপেটা শিকার এবং ষষ্ঠিতলাপাড়ায় একজন নারীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়েছিলেন বলে নানা কল্পকাহিনী প্রচার করছেন বিপুল। একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে এ ধরনের প্রচারণায় তার সম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে। ওই সব বক্তব্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ায় দেশে বিদেশে তার মানসম্মান হানি হয়।
এসব ঘটনায় গত ২১ ফেব্রুয়ারি যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট, চাঁদাদাবি ও মানহানির অভিযোগে ভাইস চেয়ারম্যন বিপুলকে আসামি করে কোতয়ালি থানায় মামলা মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট এবং চাঁদাদাবি ও মানহানির মামলায় আলাদা চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। চার্জশিটে অভিযুক্ত বিপুলকে পলাতক দেখানো হয়েছে।